৮১ অব্দ থেকে ৩৩৮ অব্দ পর্যন্ত প্রাচীন গ্রিসের ইতিহাস হচ্ছে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী নগররাষ্ট্রগুলোর ইতিহাস। কিছুদিন এক নগরী প্রভাবশালী থাকে তো পরে আবার আরেক নগরী আরও পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। প্রতিদ্বন্দী প্রধান নগরীগুলোর মধ্যে ছিল স্পার্ট, থিবিস, অ্যাথেন্স, ওলিম্পিয়া, করিন্থ ও আর্গস। এদের মধ্যে স্পার্টা ও অ্যাথেন্সই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী।
পেলোপনেসাসের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের নগরী স্পার্টা খিস্টপূর্ব ৭১০ অব্দে দখল করে নেয় প্রতিবেশী দেশ মেসেনিয়া। এর প্রায় দুশ বছর পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে যে পেলোপনেশিয়ান লিগ গঠিত হয় তারও নেতৃত্বে ছিল স্পার্টা। খ্রিস্টপূর্ব ৪শ অব্দে স্পার্টা পেলোপনেশিয়ার যুদ্ধে অ্যাথেন্সকে হারিয়ে দিয়েছিল। কার্যত তখন স্পার্টাই শাসন করত পুরো গ্রিস। কিন্তু খিষ্ট্রপূর্ব ৩৭১ অব্দে অন্য রাষ্ট্রগুলো বিদ্রোহ শুরু করে এবং স্পার্টার প্রভুতু অস্বীকার করে। এর পরও কিন্তু স্পার্টা প্রায় দুশ বছর ধরে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসাবে টিকে ছিল।
অ্যাথেন্স ছিল স্পার্টার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। ৪৮০ খিস্ট পূর্বাব্দে পারসিকদের অভিযানের সময় অ্যাথেন্সই গ্রিক নগররাষ্টগুলোর সম্মিলিত যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়। ৪শ খিস্ট পূর্বাব্দের দিকে সামরিক নেতৃত্বদানের ক্ষেত্রে স্পার্টার কাছে অ্যাথেন্স হেরে গেলেও তারা ছিল পুরো গ্রিসের সাংস্কৃতিক নেতা। ম্যাসিডনিয়ার রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ গ্রিস জয় করার আগ পর্যন্ত তারা এই অগ্রণী অবস্থান ধরে রেখেছিল।