উত্তর ভারতে ৩২০ খ্রিস্টাব্দে প্রথম চন্দ্রগুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেন গুপ্তবংশ। তিনি ছিলেন বিহারের ছোটখাট এক প্রধান। বৈবাহিক সূত্রে ও দেশ জয়ের মাধ্যমে তিনি তার রাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করে রাজা উপাধি ধারণ করেন। ৬শ বছর আগে মৌর্য বংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্তের নামে তিনি নিজের নামকরণ করেন এবং তার বংশের সব রাজাই নামের শেষে গুপ্ত উপাধি ব্যবহার করতেন। গুপ্ত শব্দের অর্থ হচ্ছে সুরক্ষিত।
চন্দ্রগুপ্তের পরে তাঁর পুত্র সমুদ্রগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন, তিনি রাজত্ব করেন প্রায় ৪৫ বল। তিনি তাঁর রাজ্যসীমা বঙ্গদেশ পর্যন্ত বর্ধিত করেন। তাঁর পুত্র দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তর সময় উত্তর ভারতের অধিকাংশ এলাকা তার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ৪০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে শ্বেত হুনদের আক্রমণের পূর্ব পর্যন্ত তাদের রাজ্যসীমা অক্ষুন্ন থাকে।
গুপ্তযুগে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ছিল আমলাতান্ত্রিক বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত এবং অধিকাংশ অপরাধের শাস্তি ছিল জরিমানা। সে সময়কার অধিকাংশ লোকই ছিল নিরামিষাশী। গুপ্তযুগে কলা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে সবিশেষ উন্নতি ঘটেছিল। ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কালিদাস এ যুগেরই মানুষ। গুপ্তদের আমলে অনেক সুন্দর সুন্দর নগরও নির্মিত হয়েছিল।