রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ১৬টি জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ,তিনি তার পছন্দের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কৌশলে পোনা মাছ সরবরাহের কার্যাদেশ দেন। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ পুকুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল আনুষ্ঠানিকভাবে পোনা অবমুক্তকরণ করেন। জানা গেছে, রাজস্ব খাতের বরাদ্দে পীরগঞ্জের ১৬ টি নির্বাচিত জলাশয়ে ১০-১৫ সে.মি আকারের ৫'শ ৪৫ কেজি রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ সরবরাহের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম গোপনে 'অনিল এন্টারপ্রাইজ' নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পোনা মাছ সরবরাহে নিয়োগ দেন। মঙ্গলবার ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত পোনা মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, নমুনায়ন ও যথাযথভাবে ওজন পরীক্ষা না করেই বিভিন্ন জলাশয়ে পাঠানো হয় অবমুক্ত করনের জন্য। একাধিক জলাশয়ের সুবিধাভোগীর জানান,আকারে ছোট এবং পোনা মাছের ওজন ঠিক না থাকলেও আমরা বাধ্য হয়ে পোনা মাছ নিয়েছি। না নিলে তো এটাও লস (ক্ষতি)। মৎস্য কর্মকর্তা যা দেয়, সেটাই লাভ। তারা আরও বলেন, এর আগেও পোনা মাছ অবমুক্তের জন্য দেয়া হলে তা মাছ হিসেবে আমরা ফেরত পাইনি। উপজেলা পরিষদের পুকুরের পাশের লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, এ বছরও ছোট ছোট পোনা মাছ অবমুক্ত করার পরই পুকুরের তেলাপিয়া মাছগুলো পোনা খেয়ে ফেলছে। যে কারণে এই পুকুর থেকে কোন মাছ পাওয়া যায় না। এটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার শুভংকরের ফাঁকি। অন্যান্য জলাশয়েও ছেড়ে দেয়া পোনা মাছগুলোর অবস্থাও একই বলে তারা জানান। পোনা অবমুক্তের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায়, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ১ কেজিতে ১৫/২০ টি পোনা মাছ নেয়া হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগে কোন দুর্নীতি হয়নি।