ইংল্যান্ডের রাজা এডোয়ার্ড ১০৬৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যাওয়ার সময় কোন সন্ততি রেখে যাননি। তাহলে ইংল্যান্ডের রাজা হবেন কে? তার সিংহাসনের প্রধান দাবিদার ছিলেন তার শ্যালক হ্যারল্ড গডউইনসন ও জ্ঞাতিসর্ম্পকীয় ভাই নরম্যান্ডির ডিউক উইলিয়ম। এডোয়ার্ড সম্ভবত ১০৬১ সালে উইলিয়মকে সিংহাসন দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। উইলিয়ম কৌশলে হ্যারল্ডকে তাঁর প্রতি আনুগত্য স্বীকারের শপথ করান।
এডোয়ার্ডের মৃত্যুর পর ইংলিশ কাউন্সিল হ্যারল্ডকে রাজা নির্বাচিত করে। নরম্যানদের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য হ্যারল্ড কয়েক মাস তার সেনাবাহিনীও প্রস্তুত রাখেন। কিন্তু তার ভাই টসটিগ ও নরওয়ের রাজা হারড্রাডার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য হ্যারল্ডকে উত্তরে যুদ্ধে যেতে হয়। স্টামফোর্ড ব্রিজের যুদ্ধে তিনি তাদের পরাজিতও করেন। যুদ্ধ শেষের পরপরই তিনি জানতে পারেন যে উইলিয়ম সাসেক্সে অবতরণ করেছেন। তিনি তাঁর দেহরক্ষীকে নিয়ে তখন দ্রুত দক্ষিণে চলে যান এবং নতুন সেনাদল গঠন করেন। তার এই অনভিজ্ঞ সেনাবাহিনী হেস্টিংসের কাছে সেনলাকে নরম্যান বাহিনীর মুখোমুখি হয়। যুদ্ধে হ্যারল্ড নিহত হন এবং তার সেনাবাহিনী পরাজিত হয়। ১৫৬৬ সালের বড়দিনে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিজয়ী উইলিয়ম রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন।
রাজা হওয়ার পরই উইলিয়ম স্যাক্সনদের দমন করার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তিনি তাদের বড় বড় জমিদারি এস্টেটগুলো বাজেয়াফত করে তার অনুগতদের মধ্যে সেগুলোর অংশবিশেষ বণ্টন করেন। তবে তারা যাতে আবার বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তাদের এই ছোট ছোট এমিদারি দেওয়া হয়। তিনি সব ভূমিমালিককেই, সে ছোট বা বড় হোক, তার প্রতি রাসরি আনুগত্য প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। রাজ্যে কর নির্ধারণের জন্য তিনি ১০৮৬ সালে একটি জরিপের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, এই জরিপ রিপোর্ট থেকে সে সময়কার কর ব্যবস্থার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।