উদ্বাস্তু হুন ও লম্বার্ডিরা ৫শ খ্রিস্টাব্দে গড়ে তুলেছিল ভেনিস নগরী। ইতালির উত্তর আড্রিয়াটিক সাগরের উপকূলঘেঁষা দ্বীপগুলোতে তারা ধীরে ধীরে গড়ে তোলে বাণিজ্যকেন্দ্র। তাদের বাণিজ্য ছিল লবণ ও লোনা মাছনির্ভর। ভেনিসের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যের জন্য নির্মাণ করে জাহাজের বহর। এসব জাহাজে তারা পণ্য নিয়ে যেত পূর্ব ভূমধ্য সাগরীয় এলাকার বন্দরগুলোতে। পণ্য বিক্রি করে তারা আনত ইন্ডিজের মসলা, ভারতের সোনা ও মণিমাণিক্য এবং চীনের রেশম। এ সময় মসলার বাণিজ্য ছিল খুবই লাভজনক। কারণ সে সময় ইউরোপে শীতের দিনগুলোতে খাদ্য সংরক্ষণ ও সুরভিত করার কাজে মসলা ব্যবহার করা হত।
প্রথম দিকের তিনটি ক্রুসেডেই ভেনিশীয় বণিকরা সাহায্য করেছিল। সেজন্যই তারা সিডন ও টায়ার-এর মত বন্দরে বাণিজ্যের অধিকার পায়। চতুর্থ ক্রুসেডের সময় তারা (১২০৪ সালে) ক্রুসেডারদের জাহাজ দিয়ে সাহায্য করে। এর বদলে তারা ইউগোস্লাভিয়ার জারা বন্দর পুনর্দখল করে ভেনিসের হাতে তুলে দেয়। ক্রুসেডারদের কনস্টান্টিনোপল লুটের ভাগও পেয়েছিল ভেনিস। মধ্যযুগের শেষ ভাগে ভেনিশীয় বণিকরাই ইজিয়ান সাগর থেকে রোডস ও ক্রিট পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেছিল। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দে ভেনিস ছিল ইউরোপের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বাণিজ্যনগরী।