মধ্যযুগে খ্রিস্টধর্মাবলম্বী বহু নারীপুরুষ জাগতিক বাসনা ত্যাগ করে সদাপ্রভুর উপাসনার জন্য বিভিন্ন মঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারা ছড়িয়ে পড়েছিলেন সারা ইউরোপে। এ সময় শহরের বৃদ্ধি ঘটলেও শহরের গরিব মানুষের সঙ্গে ধর্মের খুব একটা সম্পর্ক ছিল না। তাই তাদের জন্য দরকার হয়ে পড়েছিল ধর্মীয় শিক্ষকের। মঠবাসীরাই এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তখন তাদের বলা হত ফ্রায়ার। শব্দটি এসেছে লাতিন ফ্র্যাটার থেকে, যার অর্থ ভাই। তারা একে অন্যকে এই শব্দটি দিয়েই সম্বােধন করতেন।
প্রথম ফ্রায়াররা ছিলেন ফ্রান্সিসকান; তাদের বলা হত লিটল ব্রাদার। ১২১০ সালে আসিসির সেন্ট ফ্রান্সিস ধর্মসেবীদের এই সম্প্রদায় গঠন করেন। এর ছ বছর পর সেন্ট ডোমিনিক গঠন করেন ডোমিনিক সম্প্রদায়। দু সম্প্রদায়ের লোকই দারিদ্রের মধ্যে সহজসরল জীবনযাপন করতেন এবং ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে ও ধর্মপ্রচার করে সময় কাটাতেন। দৈহিক পরিশ্রমের কাজ করে তারা জীবিকা অর্জন করতেন। অনেক সময় তারা ধর্মীয় কাজে এত ব্যস্ত থাকতেন যে ভিক্ষা করে তাদের দিন যাপন করতে হত। সেজন্য তাদের ভিক্ষাজীবীও বলা হয়।
কারমেলাইটরাও ফ্রায়ারদের একটি সম্প্রদায়। ত্রয়োদশ শতকের মধ্যভাগে তারা ইউরোপে এসেছিলেন ফিলিস্তিন থেকে। এছাড়াও দ্বাদশ শতকে অস্টিন ফ্রায়ার বলে অন্য একটি সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল।