ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় একশ বছর ধরে যুদ্ধ চলেছিল। একটানা নয়, এটি ছিল অনেকগুলো যুদ্ধের সমষ্টি। ১৩৩৭ থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত এসব যুদ্ধ চলে। যুদ্ধের মূল কারণ ছিল ফ্রান্সের সিংহাসনের ওপর ব্রিটিশ রাজাদের অধিকার দাবি। যুদ্ধের সময়কে চারটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে :
১৩৩৭ থেকে ১৩৬০ : ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডোয়ার্ড তাঁর মা ফ্রান্সের ইসাবেলার উত্তরাধিকার সূত্রে দাবি করেন ফ্রান্সের সিংহাসন। সুইসের নৌযুদ্ধ এবং স্থলে ক্রেসি ও পোয়েটিয়ার্স-এর যুদ্ধে জয়লাভের পর এডোয়ার্ড ফ্রান্সের একটি বড় অংশ দখল করে নেন।
১৩৬০ থেকে ১৩৯৬ : ইংল্যান্ড তার সুযোগ্য সেনাপতি তৃতীয় এডোয়ার্ড ও তার পুত্র এডোয়ার্ড দ্য ব্ল্যাক প্রিন্সকে হারানোর পর ফ্রান্স ধীরে ধীরে অধিকাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করে। পরে ১৩৮৯ সালে এক সন্ধি হয়; এটি ২৮ বছর অর্থাৎ ১৩৯৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
১৪১৫ থেকে ১৪২২ : পঞ্চম হেনরি আবার ফ্রান্সের সিংহাসনের ওপর তার দাবি উত্থাপন করেন এবং দ্রুত এক অভিযান চালিয়ে আধাপাগল ফরাসিরাজ ষষ্ঠ চার্লসকে বাধ্য করেন তাকে ফ্রান্সের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসাবে ঘোষণা করতে। চার্লসের কণা ক্যাথেরিনকে বিয়ে করেছিলেন হেনরি। ক্যাথেরিন এক শিশুকে রেখে ১৪২২ সালে মারা যান। এই শিশুই ছিল হেনরির উত্তরাধিকারী। ১৪২২ থেকে ১৪৫৩ : আবার বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। ইংরেজরা প্রথম দিকে বিজয় অর্জন করলেও ফরাসি কন্যা জোয়ন অব আর্ক ফ্রান্সের সৈন্যদের মধ্যে উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেন। পরে দেখা গেল, ১৪৫৩ সালের মধ্যে একমাত্র ক্যালেইস ছাড়া ফ্রান্সে ইংরেজদের আর কোন অধিকৃত ভূমি নেই।