১৬০০ : রানি প্রথম এলিজাবেথ রাজকীয় সনদ বলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা প্রদান করেন।
১৬০০ : সেকিগাহারার যুদ্ধ : তোকুগাওয়া আইয়াসু জাপানের শাসনক্ষমতা অর্জনের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করেন। তিনি সামরিক এবং প্রশাসনিক সদর দফতর স্থাপন করেন এভোতে (টোকিও)।
১৬০০ : কাশীরাম দাস। কলিকাতায় আর্মানি ব্যবসায়ীদের আগমন।
১৬০১ : এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনে গির্জাসমূহের ওপর অভিযোগ আনা হল এবং দরিদ্রদের প্রয়োজন মেটাতে তাদের বাধ্য করা হল।
১৬০১ : এসেক্স বিদ্রোহের চেষ্টা করেন এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
১৬০২ : স্যাভয় জেনেভা আক্রমণ করে : প্রোটেস্ট্যান্ট প্রদেশগুলো ফ্রান্সের সঙ্গে গঠন করে জোট।
১৬০২ : ওলন্দাজ (ডাচ) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত।
১৬০২ : প্রথম শাহ আব্বাসের শাসনাধীন পারস্য লিপ্ত হয় তুরস্কের সঙ্গে ধর্মযুদ্ধে (১৬১৮ সাল পর্যন্ত)।
১৬০২ : কারভালহোর সন্দ্বীপ জয়।
১৬০৩ : আইয়াসু জাপানের সোগান নিযুক্ত।
১৬০৩ : স্কটল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জেমস হলেন ইংল্যান্ডের প্রথম জেমস (১৬২৫ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৩ : স্যামুয়েল দ্য শ্যাম্পলে সেন্ট লরেন্স নদীতে অভিযান চালান।
১৬০৪ : রাশিয়ার সমস্যাক্রান্ত কাল (১৬১৩ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৪ : ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত।
১৬০৪ : হ্যাম্পটন কোর্ট সম্মেলন : পিউরিটানদের কোন রকম ছাড় দিতে চার্চের অস্বীকৃতি; জেসুইটদের নিষিদ্ধ করেন জেমস।
১৬০৪ : ইংল্যান্ড এবং স্পেনের সন্ধি।
১৬০৪ : রাশিয়ানরা সাইবেরিয়ায় বসতি গড়তে শুরু করে এবং তোমস্ক প্রতিষ্ঠা করে।
১৬০৫ : পঞ্চম পল পোপ হিসাবে অভিষিক্ত (১৬২১ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৫ : ইংলিশ পার্লামেন্ট উড়িয়ে দেয়ার জন্য বিস্ফোরক ষড়যন্ত্র উঘাটিত; গাই ফক্স এবং অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেফতারের পর বিচার করা হয়।
১৬০৫ : দ্বিতীয় ফেদর রাশিয়ার জার নিযুক্ত। তাকে অপসারণ এবং হত্যা করা হয়।
১৬০৬ : রোমান ক্যাথলিকদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে আইন প্রণয়ন।
১৬০৬ : বাসিল শুইস্কি রাশিয়ার জার হিসাবে অভিষিক্ত (১৬১০ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৬ : রাশিয়ার সিংহাসনের দাবিদার অনেকেই সিংহাসন দখলের চেষ্টা চালায়।
১৬০৬ : কসাক এবং কৃষক বিদ্রোহ (১৬০৮ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৬ : তুর্কি এবং অস্ট্রিয়ানদের মধ্যে ঝিট-টোরোক সন্ধি : ট্রাসিলভানিয়া ছেড়ে দেয় অস্ট্রিয়া কিন্তু তুর্কিদের বশ্যতাকর দিতে অস্বীকার করে।
১৬০৬ : ভিলেম জানজ অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন।
১৬০৭ : ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড একীভূতকরণের প্রস্তাব ইংরেজ সংসদে প্রত্যাখ্যাত।
১৬০৭ : জন স্মিথ ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে ইংরেজ উপনিবেশের গোড়াপত্তন করেন। পূর্ব গ্রিনল্যান্ড এবং হাডসন নদী আবিষ্কারের জন্য হেনরি হাডসনের অভিযান শুরু।
১৬০৮ : জার্মানিতে পোটেস্ট্যান্ট ইউনিয়ন গঠিত, এর নেতৃত্ব দেন চতুর্থ ফ্রেডারিক।
১৬০৮ : ফরাসি অভিযাত্রী স্যামুয়েল দ্য শ্যাম্পলে কুইবেকে বসতি স্থাপন করেন।
১৬০৯ : স্পেন এবং সংযুক্ত প্রদেশসমূহের মধ্যে বার বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। নিশ্চিত হয় নেদারল্যান্ডসের স্বাধীনতা।
১৬০৯ : প্রোটেস্ট্যান্ট ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বাভারিয়ার ম্যাক্সিমিলানের নেতৃত্বে ক্যাথলিক লিগ গঠিত।
১৬০৯ : রাশিয়ার সমস্যাক্রান্ত সময়ে পোল্যান্ড রাশিয়ায় হস্তক্ষেপ করে (১৬১৮ সাল পর্যন্ত)।
১৬০৯ : সৌরজগতে গ্রহের গতি বিষয়ে জোহানেস কেপলার তার দুটো সূত্র প্রকাশ করেন।
১৬১০ : বিশাল চুক্তি : প্রথম জেমস বার্ষিক দু লাখ পাউন্ড অর্জনের অধিকারী হন।
১৬১০ : গালিলেও গালিলেই প্রথম একটি টেলিস্কোপের সাহায্যে গ্রহনক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন।
১৬১০ : চতুর্থ হেনরি নিহত : ত্রয়োদশ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত (১৬৪৩ সাল পর্যন্ত)।
১৬১০ : হেনরি হাডসন আবিষ্কার করেন হাডসন উপসাগর।
১৬১০ : ইউরোপে চায়ের প্রচলন।
১৬১০ : বাসিল শুইস্কি ক্ষমতাচ্যুত এবং পোল্যান্ডের রাজা সিগিসমুন্ডের পুত্র ব্লাডিস্লাভকে রাশিয়ার সিংহাসন প্রদান।
ছাপাখানা পৃথিবীতে খুব কম আবিষ্কারেই ছাপাখানা আবিষ্কারের মতো এমন প্রভাব পড়েছে। সপ্তম শতকে চীনারা প্রথমে কাঠের টুকরো হাতে খোদাই করে ছাপা কাজের প্রচলন করে। এর তিন শ বছর পর চীনা ছাপাইকারী পি শেং প্রতিস্থাপনযোগ্য মাটির তৈরি হরফ ব্যবহার করেন। প্রতিস্থাপনযোগ্য ধাতুর হরফের যে ছাপাখানার সঙ্গে আমরা পরিচিত, সেটি জার্মানির মেইঞ্জের এক স্বর্ণকার জোহানেস গুটেনবার্গের আবিষ্কার। ১৪৪০-এর দশকে অনেকেই এ ব্যাপারে গবেষণা করছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে গুটেনবার্গই যথার্থভাবে সফলকাম হন ১৪৫৪ সালে। প্রতিটি অক্ষর আলাদা আলাদাভাবে ঢালাই করে এবং তখনকার দিনে মদের কারখানায় ব্যবহৃত আঙ্গুর থেকে রস নিষ্কাশনের অনুরূপ একটি যন্ত্র এবং সুন্দর চটচটে কালির সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছিল তাঁর ছাপাখানাটি। (হাতে নকল করার চেয়ে ছাপাখানায় বই তৈরি করা যেত আরও দ্রুত, সস্তায় এবং সঠিকভাবে। তাই জ্ঞানের পরিধির বিস্তার তখন ঘটেও খুব দ্রুত।
গোলাপের যুদ্ধ সিংহাসনের জন্য তৃতীয় এডোয়ার্ডের বংশধর পরিবারগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধ চলেছিল। এই যুদ্ধের সময় ইয়র্ক পরিবার পরিচয় চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করত সাদা গোলাপের ব্যাজ। অন্যদিকে ল্যাংকাস্টার পরিবার ব্যবহার করত লাল গোলাপের ব্যাজ। উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ তাই গোলাপের যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত।
ইয়র্কের ডিউক রিচার্ড যখন ল্যাংকাস্টারের ধার্মিক অথচ দুর্বল ষষ্ঠ হেনরিকে উন্মাদ আখ্যা দিয়ে সিংহাসন দাবি করেন তখনই এই যুদ্ধের সূচনা। রিচার্ডের পুত্র এডোয়ার্ড ১৪৬১ সালে রাজা হন। ১৪৭০ সালে হেনরি সিংহাসন পুনর্দখল করেন। ১৯৮৩ সালে চতুর্থ এডোয়ার্ডের মৃত্যুর পর তার পুত্র পঞ্চম এভোয়ার্ড এবং তার সমর্থকদের পদচ্যুত করেন তরুণ রাজার চাচা, গ্রস্টারের ডিউক রিচার্ড। এডোয়ার্ডকে বন্দি করে দুর্গে পাঠানো হয় এবং তার চাচা তৃতীয় রিচার্ড হন রাজা।
১৪৮৫ সালে বসওয়ার্থ ফিল্ডের যুদ্ধে তৃতীয় রিচার্ড নিহত হলে এই লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে। এবার সিংহাসন দখল করেন ল্যাংকাস্টারের সপ্তম হেনরি এবং তিনি প্রথম টিউডর। সিংহাসনে আরোহণের অল্প কয়েক বছরেই তিনি সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করেন এবং সিংহাসনের দাবি আরও পাকাপোক্ত করার জন্য চতুর্থ এডোয়ার্ডের কন্যা এলিজাবেথকে বিয়ে করেন।