অটোমান সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মহান শাসক ছিলেন সুলেইমান। তিনি ১৫২০ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ৪৬ বছর রাজত্ব করেন। তুর্কিদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন কানুনি অর্থাৎ আইনপ্রণেতা হিসাবে। বিচারব্যবস্থার সংস্কার এবং দক্ষ প্রশাসনের জন্য তারা তাঁকে এই নামে ডাকত। তাঁর আঁকালো রাজদরবার এবং ইউরোপে অনেক যুদ্ধ জয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোতে তাকে ডাকা হত দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট বলে।
কয়েকটি বুদ্ধিদীপ্ত অভিযানে সুলেইমান বেলগ্রেড এবং রোডস দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেন এবং ধেয়ে যান হাঙ্গেরি পর্যন্ত। পারস্যের সঙ্গে তিনি তিন বার যুদ্ধে লিপ্ত হন এবং ইরাক দখল করে নেন। কিন্তু পূর্ব সীমান্তে সমস্যা থেকেই যায়। তাঁর শাসনকালে অটোমান নৌবাহিনী দুর্দান্ত শক্তিসম্পন্ন হয়ে ওঠে। ১৫৬৬ সালে তিনি হাঙ্গেরির একটি দুর্গ অবরোধ করার সময় মারা যান।
ব্যাপক অবরোধ
১৫৩০ সালে তুর্কিরা সেন্ট জনের নাইটদের রোডস থেকে বহিষ্কার করলে তারা মাল্টায় আশ্রয় পায়। তুর্কিদের তারা হানাদার গণ্য করে এবং তাদের শত্রু ঘোষণা করে যুদ্ধ অব্যাহত রাখে। ১৫৬৫ সালে অটোম্যান সুলতান ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ সুলেইমান তাঁর শাসন বলবতের জন্য মাল্টা আক্রমণের নির্দেশ দেন।
প্রতিরোধকারীদের চার গুণ জনবল সংবলিত এক বিশাল তুর্কি নৌবহর মে মাসে দ্বীপটি অবরোধ করে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত থাকে। সিসিলি থেকে নাইটদের জন্য সাহায্য এলে বিশাল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে তুর্কিরা পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। এই অবরোধের নায়ক ছিলেন জা প্যারিসসা ডি লা ভ্যালেত্তি। তিনি দুর্গবেষ্টিত এক শক্তিশালী নতুন নগর পত্তন করেন এবং তার নামানুসারে এর নামকরণ করেন ভ্যালেত্তা। এটি এখন। এই দ্বীপের রাজধানী।