উচ্চাকাক্সক্ষী এক নারী, ক্যাথেরিন দ্য মেদিসির কারণে ফ্রান্সের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর নিধনযজ্ঞ সংঘটিত হয়। দ্বিতীয় হেনরির বিধবা ক্যাথেরিন তার পুত্র নবম কার্লসকে সম্পূর্ণভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। চার্লস মাত্র দশ বছর বয়সে রাজা হন। কিন্তু ১৫৭২ সালে চার্লসের বয়স যখন বাইশ, তখন মনে হতে থাকে তিনি ফরাসি প্রোটেস্ট্যান্টদের অ্যাডমিরাল গ্যাসপার দ্য কলিনি কর্তৃক অনুপ্রাণিত হতে শুরু করেছেন।
কলিনিকে হত্যার একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবার পর ক্যাথেরিন নেতৃস্থানীয় প্রোটেস্ট্যান্টদের ওপর গণহত্যা চালাবার পরিকল্পনা নেন। তারা তখন ন্যাভারির হেনরি এবং ক্যাথেরিনের মেয়ে মার্গারেটের বিয়ে উপলক্ষে প্যারিসে অবস্থান করছিল। ১৫৭২ সালের ২৪ অগাস্ট, সেন্ট বার্থোলোমিউ দিবসে, কলিনির ওপর হত্যা চেষ্টার দুদিন পর ভোরবেলা এই নিধনযজ্ঞ শুরু হয়। রানি ন্যাভারির হেনরি এবং প্রিন্স দ্য কন্দেকে ছেড়ে দিলেও কলিনি এবার আর বাঁচতে পারলেন না। সারা ফ্রান্সে এই নিধনযজ্ঞ ছড়িয়ে পড়ে এবং দুদিনের এই হত্যাযজ্ঞে প্রায় ২০ হাজার প্রােটেস্ট্যান্টকে হত্যা করা হয়।