ফরাসি সম্রাট চতুর্থ হেনরির হত্যাকাণ্ডের সময় থেকে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে বলা হয় রাজন্যবর্গের যুগ। কারণ, এ সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করেছেন খ্যাতিমান কিছু শাসক, যাদের অনেকেই একনায়কসুলভ কর্তৃত্বকে তাদের অধিকার হিসাবে ভাবতে অভ্যস্ত ছিলেন। রাজার অধিকার ঈশ্বর প্রদত্ত এই ধারণা খোলাখুলি প্রচার করতেন ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস। কিন্তু ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্রের প্রতিটি ধারণা প্রবল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে শিরচ্ছেদের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে রাজা জেমসের পুত্র প্রথম চার্লসকে। পরবর্তীকালের ব্রিটিশ রাজাদের ক্ষমতা ছিল বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত।
এদিক থেকে ফ্রান্সের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এয়োদশ, চতুর্দশ ও পঞ্চদশ লুই এই তিন রাজা ফ্রান্স শাসন করেছেন একাধিক্রমে ১৬৪ বছর। এরা হয় সরাসরি অথবা মন্ত্রীদের মাধ্যমে প্রয়োগ করেছেন সর্বময় ক্ষমতা। এ সময় দোদণ্ড প্রতাপে রাশিয়া শাসন করেছেন পিটার দ্য গ্রেট এবং সুইডেন শাসন করেছেন তাঁর ঘোরতর শত্রু দ্বাদশ চার্লস। আর প্রুশিয়ার ফ্রেডারিক দ্য গ্রেট ও সম্রাজ্ঞী মারিয়া তেরেসার মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সৃষ্ট যুদ্ধ ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছিল ইউরোপকে। কিন্তু নৃপতিদের দম্ভ ও ক্ষমতার অতিপ্রয়োগ তাদের নিজ নিজ দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি বরং তা রাজতন্ত্রের বিনাশকে তুরান্বিত করেছে। জাগতিক বিষয়ে ধর্মের চেয়ে যুক্তিকে প্রাধান্য দেয়ার ক্রমবর্ধমান মানসিকতা ও রেনেসাঁসের অপ্রতিরোধ্য প্রভাব এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের প্রসার রাজতন্ত্রের বিলোপে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
একনজরে রাজন্যবর্গের যুগ
১৬০৫ : সম্রাট জাহাঙ্গীর।
১৬১০ : সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক জাহাঙ্গীরনগর প্রতিষ্ঠিত।
১৬১১ : বাইবেলের ইংরেজি অনুবাদ সম্পন্ন করেন প্রথম জেমস।
১৬১২ : আলস্টার আবাদ : ইংরেজ ও স্কচ প্রোটেস্ট্যান্ট উপনিবেশবাদীদের আলস্টারে বসতি স্থাপন। পবিত্র রোম সম্রাট হন ম্যাথিয়াস (ক্ষমতায় ছিলেন ১৬১৯পর্যন্ত)
১৬১৩ : মিখাইল রোমানভ রাশিয়ার জার হন (ক্ষমতায় ছিলেন ১৬৪৫ সাল পর্যন্ত); রোমান রাজবংশের প্রতিষ্ঠা।
১৬১৪ : এস্টেট-জেনারেলদের ফ্রান্সে তলব।
১৬১৪ : প্রথম জেমস অকর্মণ্য পার্লামেন্ট বাতিল করেন, যা কোন আইন পাস করতে সক্ষম হয়নি।
১৬১৪ : অভিজাত শ্রেণীর ক্ষমতা খর্ব করার লক্ষ্যে ফ্রান্সে এস্টেট জেনারেলদের তলব।
১৬১৪ : সুবাদার হাসিম খান।
১৬১৫ : উত্তর চীনের উপজাতিগুলোর সামরিক সংস্থা গঠন (টিকেছিল ১৬২০ সাল পর্যন্ত)।
১৬১৬ : ডাচ নাবিক উইলেম শুতেন কেপ হর্ন পরিভ্রমণ করেন।
১৬১৬ : ওলন্দাজ নাবিক উইলেম শুতেন কেপ হর্ন পরিভ্রমণ করেন।
১৬১৭ : রাশিয়া ও সুইডেনের মধ্যে স্টলবোভ চুক্তি স্বাক্ষর।
১৬১৭ : সুবাদার ইব্রাহিম ফতে জঙ্গ।
১৬১৮ : ৩০ বছর ব্যাপী যুদ্ধ শুরু (১৬৪৮ সাল পর্যন্ত)।
১৬১৮ : ফরাসি অভিযাত্রী পল ইমবার্ত পৌছান টিটু।
১৬১৮ : ফরাসি অভিযাত্রী পল ইমবার্ত টিম্বাই পৌছেন।
১৬১৯ : আমেরিকার প্রথম পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে।
১৬১৯ : প্রথম নিগ্রো ক্রীতদাস আনা হয় ভার্জিনিয়ায়।
১৬১৯ : পবিত্র রোম সম্রাট হন দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ (ক্ষমতায় ছিলেন ১৬৩৭ সাল পর্যন্ত) প্রথম মার্কিন পার্লামেন্টের অধিবেশন বসে ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে। প্রথম নিগ্রো ক্রীতদাস পৌছে ভার্জিনিয়ায়।
১৬২০ : পিলগ্রিম ফাদার্স বা পুণ্যার্থী অভিযাত্রীদল পৌছায় কেপ কডে, প্রতিষ্ঠা করে নিউ প্লিমথ নগরী।
১৬২০ : হোয়াইট মাউন্টেন যুদ্ধ বাভারিয়ার ম্যাক্সিমিন পরাজিত করেন পঞ্চম ফ্রেডারিককে।
১৬২১ : নুরহাচি বহিষ্কার করেন মিংদের এবং লিয়াওইয়াংয়ে স্থাপন করেন মাঞ্চু রাজধানী।
১৬২১ : স্পেনের রাজা হন চতুর্থ ফিলিপ।
১৬২১ : ডাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোম্পানি গঠিত।
১৬২২ : রাজা প্রথম জেমস পার্লমেন্ট ভেঙ্গে দেন।
১৬২২ : স্পেন ভল্টেলিন গিরিপথ দখল করে নেয়, ফলে যুদ্ধ বাধে ফ্রান্সের সঙ্গে। উইমফেন ও রোখটের যুদ্ধ, কাউন্ট টিলির সৈন্যদের কাছে প্রোটেস্ট্যান্ট বাহিনী পরাজিত।
১৬২২ : জাপানে খ্রিস্টান মিশনারি হত্যা চরমে পৌছে (১৬২৪ পর্যন্ত)।
১৬২৩ : অ্যামবোইনায় ডাচরা কচুকাটা করে ইংরেজদের।
১৬২৩ : মালাক্কা দ্বীপের অ্যামবোইনায় ইংরেজদের কচুকাটা করে ওলন্দাজরা।
১৬২৩ : পোপ হলেন অষ্টম আরবান।
১৬২৪ : রিশ হলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী।
১৬২৪ : ব্রিটিশ রাজা প্রথম জেমস ফ্রান্সের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করেন।
১৬২৪ : পার্লামেন্টে স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত।
১৬২৪ : কার্ডিনাল রিশ হলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী।
১৬২৫ : ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন রাজা প্রথম চার্লস (ক্ষমতায় ছিলেন ১৬৪৯ সাল পর্যন্ত)।
১৬২৬ : মাদাগাস্কারে ফরাসিদের প্রথম বসতি স্থাপন।
১৬২৬ : ডাচরা প্রতিষ্ঠা করে নিউ আমস্টারডাম শহর।
১৬২৬ : দেসাউর যুদ্ধ, ফন ভ্যালেনস্টিনের নেতৃত্বাধীন ক্যাথলিক বাহিনীর হাতে পরাজিত হয় প্রোটেস্ট্যান্টরা।
১৬২৬ : ডাচদের নিউ আমস্টারডাম (নিউ ইয়র্ক) নগরী প্রতিষ্ঠা।
১৬২৭ : সূম্রাট শাহজাহান।
১৬২৭ : কাউন্ট টিলি ও ওয়ালেনস্টিনের নেতৃত্বে রাজকীয় বাহিনী প্রোটেন্ট্যান্ট জার্মানির বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়।
১৬২৮ : আততায়ীর হাতে বাকিংহামের ডিউক নিহত।
১৬২৮ : কর্ডিনাল রিশর কাছে হিউগ্যাটদের (ফ্রান্সের প্রোটেস্ট্যান্ট) আত্মসমর্পণ ও তাদের ক্ষমতা খর্ব।
১৬২৮ : চিকিৎসা বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্ভে রক্ত চলাচল পদ্ধতি আবিষ্কার করেন এবং তা প্রদর্শন করেন।
১৬২৯ : ব্রিটেনের রাজা প্রথম চার্লস পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন এবং সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করেন (১৬৪০ সাল পর্যন্ত)।
১৬২৯ : দ্বিতীয় : ফার্দিনান্দ ও চতুর্থ ক্রিস্টিয়ানের মধ্যে লিউবেকের সন্ধি।
১৬২৯ : দ্বিতীয় ফার্দিনান্দের প্রত্যর্পণ অনুশাসন বলে প্রোটেস্ট্যান্টদের ভূমি পুনরায় দাবি করার অধিকার পায় ক্যাথলিকরা।
১৬৩০ : তুর্কিদের পারস্যের হামাদান দখল।
১৬৩০ : যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে ইংরেজদের বসতি স্থাপন শুরু (১৬৪২ সাল পর্যন্ত)।
১৬৩০ : স্পেনের সঙ্গে ইংল্যান্ডের শান্তি স্থাপন।
১৬৩০ : সুইডেনের রাজা দ্বিতীয় গাস্টেস অ্যাডলফাস দ্বিতীয় ফার্দিনান্দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন।
১৬৩০ : ব্রিটেন থেকে আগত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী বসতি স্থাপন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে। ১৬৪২ সাল পর্যন্ত বসতি গড়ে ১৬ হাজার ভাগ্যান্বেষী ব্রিটিশ। এই প্রক্রিয়া চলে ১৬৪২ সাল পর্যন্ত।
১৬৩০ : চতুর্থ মুরাদের নেতৃত্বে তুর্কিরা দখল করে হামাদান।
১৬৩১ : টিলির নেতৃত্বে ক্যাথলিক বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ম্যাগডিবার্গ শহরে।
১৬৩১ : লাইপজিগ যুদ্ধ, সুইডিশ ও স্যাক্সন বাহিনীর হাতে টিলির পরাজয়।
১৬৩২ : জেনের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে সুইডেন বিজয়ী হলেও নিহত হন দ্বিতীয় গাস্টেভাস অ্যাডলফাস।
১৬৩২ : পর্তুগিজ হুগলি বন্দরের পতন।
১৬৩৩ : কানেক্টিকাট উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা।
১৬৩৪ : ওয়ালেনস্টিন পদচ্যুত এবং নিহত।
১৬৩৪ : রাশিয়া ও পোল্যান্ডের মধ্যে পলিয়ানভ চুক্তি স্বাক্ষর।
১৬৩৫ : সুবাদার ইসলাম খান মাশহাদী।
১৬৩৫ : প্রাগচুক্তি স্বাক্ষর; দ্বিতীয় ফার্দিনান্দ প্রত্যর্পণ অনুশাসন বাতিল করে
১৬৩৫ : স্যাক্সনিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন। অধিকাংশ প্রোটেস্ট্যান্ট রাজকুমার এ চুক্তি মেনে নেন।
১৬৩৫ : স্পেনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৬৩৭ : রুশ অভিযাত্রীরা সাইবেরিয়া অতিক্রম করে পৌছে যায় প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে।
১৬৩৭ : পবিত্র রোম সম্রাজ্যের সম্রাট হন তৃতীয় ফার্দিনান্দ (ক্ষমতায় ছিলেন ১৬৫৭ সাল পর্যন্ত)। সাইবেরিয়া পাড়ি দিয়ে রুশ অভিযাত্রীদল পৌছে যায় প্রশান্ত মহাসাগরে।
১৬৩৮ : তুর্কিদের বাগদাদ বিজয়।
১৬৩৮ : বাগদাদ জয় করে তুরস্ক।
১৬৩৮ : শিম্বারা বিদ্রোহ এবং জাপানে খ্রিস্টান নিধনযজ্ঞ। মূলত এর মধ্য দিয়ে জাপানে খ্রিস্টানদেরকে নিশ্চিহ্ন করা হয়।
১৬৩৯ : প্রথম চার্লস ও স্কটিশ গির্জার মধ্যে যুদ্ধ। পরে শান্তিচুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধের সমাপ্তি।
১৬৩৯ : সুবাদার শাহ সুজা।
১৬৪০ : স্পেনের বিরুদ্ধে পর্তুগিজদের বিদ্রোহ।
১৬৪০ : স্বল্প সময়ের জন্য পার্লমেন্টের অধিবেশন আহ্বান করেন রাজা প্রথম চার্লস। তার চাহিদামত অর্থ বরাদ্দ না করায় তিনি পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন।
১৬৪০ : জোয়াও রিবেরোর নেতৃত্বে স্পেনের বিরুদ্ধে পর্তুগিজদের বিদ্রোহ। এতে সমর্থন দেয় ফ্রান্স।
১৬৪১ : আয়ারল্যান্ডে ক্যাথলিক বিদ্রোহ।
১৬৪১ : আয়ারল্যান্ডে ক্যাথলিক বিদ্রোহ, ৩০ হাজার প্রোটেস্ট্যন্টকে হত্যা।
১৬৪২ : ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু (১৬৪৬ সাল পর্যন্ত)।
১৬৪২ : কানাডার মন্ট্রিয়ল নগরী প্রতিষ্ঠা করে ফরাসিরা।
১৬৪২ : আবেল তাসমান আবিষ্কার করেন বর্তমান তাসমানিয়া।
১৬৪২ : ব্রিটেনের রাজা প্রথম চার্লস ৫ পার্লামেন্ট সদস্যকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন। প্রত্যাখান করেন পার্লামেন্টের উনিশটি প্রস্তাব।
১৬৪২ : ব্রিটেনে রাজতন্ত্রপন্থি ও পার্লামেন্টপন্থিদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ (১৬৪৬ সাল পর্যন্ত)।
১৬৪২ : লাইপজিগের দ্বিতীয় যুদ্ধ, সুইডিশদের বিজয়।
১৬৪২ : মন্ট্রিয়লের গোড়াপত্তন করে ফরাসিরা।
১৬৪৩ : পাঁচ বছর বয়সে ফ্রান্সের রাজা হন চতুর্দশ লুই, প্রধানমন্ত্রী কার্ডিনাল মাজারি। রাজত্ব করেন ১৭১৫ সাল পর্যন্ত।
১৬৪৩ : রকরয়ের যুদ্ধ, ফ্রান্সের কাছে স্পেনের পরাজয়।
১৬৪৩ : বাল্টিক অঞ্চলের প্রধান্য নিয়ে ডেনমার্ক ও সুইডেনের মধ্যে যুদ্ধ (১৬৪৫ সাল পর্যন্ত।)।
১৬৪৪ : চীনের ক্ষমতা দখল করে মাঞ্চু বংশ।
১৬৪৪ : মার্সটন মুরের যুদ্ধ : অলিভার ক্রমওয়েল পরাজিত করেন যুবরাজ রুপার্টকে।
১৬৪৪ : চীনে মাঞ্চু রাজবংশের সূচনা, সম্রাজ্য শাসন করে ১৯১২ সাল পর্যন্ত।
১৬৪৫ : ক্রিট নিয়ে তুরস্ক ও ভেনিসের মধ্যে যুদ্ধ।
১৬৪৫ : কাপুচিন সন্ন্যাসীদের কঙ্গো নদীর উজানে গমন।
১৬৪৫ : ডাচদের কাছ থেকে পর্তুগিজরা ছিনিয়ে নেয় ব্রাজিল।
১৬৪৫ : ক্রমওয়েলের নিউ মডেল আর্মি গঠন।
১৬৪৫ : ন্যাসবির যুদ্ধ; পার্লামেন্টপন্থিদের হাতে রাজা প্রথম চার্লসের পরাজয়।
১৬৪৫ : ক্রিট দ্বীপ নিয়ে তুরস্ক ও ভেনিসের মধ্যে যুদ্ধ (১৬৬৪ সাল পর্যন্ত)।
১৬৪৬ : স্কটদের কাছে প্রথম চার্লসের আত্মসমর্পণ।
১৬৪৭ : ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাতে চার্লসকে স্কটদের সমর্পণ; সেনাবাহিনী পরে তাকে বন্দি করলেও তিনি পালিয়ে গিয়ে স্কটদের সঙ্গে গোপনে সন্ধি করেন।
১৬৪৮ : ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তি স্বাক্ষর। প্যারিসে পার্লামেন্টের একটি অংশের বিদ্রোহ শুরু (১৬৪৯ সাল পর্যন্ত)।
১৬৪৮ : স্কটদের ইংল্যান্ড আক্রমণ। কিন্তু প্রেস্টনের যুদ্ধে ক্রমওয়েলের নেতৃত্বাধীন
১৬৪৮ : ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে তাদের পরাজয় বরণ।
১৬৪৮ : ব্রিটিশ পার্লামেন্ট থেকে প্রাইডদের বিতাড়ন।
১৬৪৮ : ওয়েস্টফেলিয়া চুক্তির মধ্যদিয়ে শেষ হয় ৩০ বছরব্যাপী যুদ্ধ। ডাচ ও সুইস প্রজাতন্ত্র স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃত।
১৬৪৮ : প্যারিসে রাজা চতুর্দশ লুইয়ের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টপন্থিদের বিদ্রোহ (এই বিদ্রোহ পূর্ণভাবে দমন করা হয় ১৬৪৯ সালে)।
১৬৪৯ : ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।
১৬৪৯ : ইংল্যান্ডে কমনওয়েলথ (১৬৬০ সাল পর্যন্ত)
১৬৪৯ : রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা প্রবর্তন।
১৬৪৯ : বিচারে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের মৃত্যুদণ্ড এবং তা কার্যকর।
১৬৪৯ : কমনওয়েলথ (১৬৬০ সাল পর্যন্ত) : ব্রিটেন প্রজাতন্ত্র হিসাবে শাসিত।
১৬৪৯ : আয়ারল্যান্ডে ক্যাথলিকদের বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করেন ক্রমওয়েল।
১৬৪৯ : রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত।
১৬৫০ : চট্টলে আলাওল প্রমুখ মুসলমান কবিগণ।
১৬৫০ : দ্বিতীয় চার্লসের স্কটল্যান্ডে অবতরণ এবং নিজেকে রাজা ঘোষণা।
১৬৫১ : ইংরেজদের প্রথম বাংলায় আগমন।
১৬৫১ : উস্টার যুদ্ধ সংঘটিত।
১৬৫১ : রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ইংল্যান্ড আক্রমণ এবং উস্টারের যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফ্রান্সে পলায়ন।
১৬৫১ : প্রথম নৌচলাচল আইন প্রনয়ন ও কার্যকর : বহির্বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার পায় ব্রিটেন।
১৬৫২ : অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধ শুরু (১৬৫৪ সাল পর্যন্ত)
১৬৫২ : ডাচদের কেপটাউন নগরী প্রতিষ্ঠা।
১৬৫২ : অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধ (১৬৫৪ সাল পর্যন্ত)।
১৬৫২ : ফরাসি রাজা চতুর্দশ লুইয়ের বিরুদ্ধে ফ্রর্দে বিদ্রোহে স্পেনের হস্তক্ষেপ।
১৬৫২ : কেপটাউন নগরী প্রতিষ্ঠা করে ওলন্দাজরা।
১৬৫৪ : ইংল্যান্ড ও ডাচ প্রজাতন্ত্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ওয়েস্টমিনস্টার চুক্তি।
১৬৫৪ : পর্তুগিজরা ব্রাজিল ছিনিয়ে নেয় ডাচদের কাছ থেকে।
১৬৫৫ : স্পেনের কাছ থেকে ইংল্যান্ডের জ্যামাইকা দখল।
১৬৫৫ : ক্রমওয়েল ইংল্যান্ডকে ১২টি সামরিক জেলায় বিভক্ত করেন।
১৬৫৫ : স্পেনের কাছ থেকে জ্যামাইকা কেড়ে নেয় ইংল্যান্ড।
১৬৫৫ : পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুইডেনের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৬৫৬ : ভেনিসীয়রা দার্দানেলিস থেকে তুর্কিদের বিতাড়িত করে।
১৬৫৬ : সুইজারল্যান্ডের প্রোটেস্ট্যান্ট ও ক্যাথলিক প্রদেশের মধ্যে প্রথম ভিলমার্গেন যুদ্ধ।
১৬৫৬ : ইংল্যান্ড ও স্পেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু (১৬৫৯ পর্যন্ত)।
১৬৫৬ : ওয়ারশ’র যুদ্ধ : সুইডিশদের বিজয়। সুইডেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে রাশিয়া, ডেনমার্ক ও পবিত্র রোমসম্রাজ্য।
১৬৫৭ : ডাচ প্রজাতন্ত্র ও পর্তুগালের মধ্যে যুদ্ধ শুরু (১৬৬১ সাল পর্যন্ত)।
১৬৫৭ : সুবাদার শাহ সুজার নতুন রাজস্ব বন্দোবস্ত। সুবা বাংলা ৩৪ সরকার ও ১৩৫০ মহালে বিভক্ত। বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ১৫ হাজার ৯শত ৭ টাকা ধার্য।
১৬৫৮ : ইংল্যান্ডের অলিভার ক্রমওয়েলের মৃত্যু, সিংহাসনে বসেন তাঁর পুত্র রিচার্ড।
১৬৫৮ : বালিয়াড়ি যুদ্ধ, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স মিলিতভাবে পরাজিত করে স্পেনকে।
১৬৫৮ : ইংল্যান্ড লাভ করে ডানকার্ক।
১৬৫৮ : প্রথম লিওপোল্ড হন পবিত্র রোমসম্রাট (ক্ষমতায় ছিলেন ১৭০৫ পর্যন্ত)
১৬৫৯ : রিচার্ড ক্রমওয়েলকে পদত্যাগে বাধ্য করে সেনাবাহিনী।
১৬৫৯ : সম্রাট আওরঙ্গজেব।
১৬৬০ : ইংল্যান্ডের সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন রাজা দ্বিতীয় চার্লস।
১৬৬০ : নাইজারের উজানে বাম্বারা রাজাসমূহেব উত্থান।
১৬৬০ : কনভেনশন পার্লামেন্ট রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে পুনরায় ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসায়।
১৬৬০ : অলিভা চুক্তি : পোল্যান্ড সুইডেনকে ছেড়ে দেয় লিভোনিয়া।
১৬৬০ : কোপেনহেগেন চুক্তি : সুইডেনের কাছে কিছু এলাকা ছেড়ে দেয় ডেনমার্ক।
১৬৬০ : সুবাদার মীর জুমলা।
১৬৬১ : মোগল সৈন্যের আসাম আক্রমণ।
১৬৬১ : ফ্রান্সে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাজা চতুর্দশ লুই।
১৬৬১ : ইংরেজের বোম্বাই দখল।
১৬৬১ : কার্দিস চুক্তি; রাশিয়া ও সুইডেন পরস্পরের দখল করা ভূখও ফিরিয়ে দেয় পরস্পরকে।
১৬৬১ : কার্ডিনাল মাজারির মৃত্যু, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন রাজা চতুর্দশ লুই।
১৬৬১ : চীনা জেনারেল কোজিঙ্গা দখল করেন ফরমোজা।
১৬৬২ : মীর জুমলার আসাম বিজয়।
১৬৬২ : ইংরেজদের হাতে পর্তুগিজদের তাঞ্জিয়ার সমর্পণ।
১৬৬২ : ব্রিটেনে পাস হয় ইউনিফর্মিটি বা সমতা আইন।
১৬৬৪ : ডাচদের কাছ থেকে নিউ আমস্টারডাম ছিনিয়ে নেয় ইংল্যান্ড, নতুন নামকরণ করে নিউ ইয়র্ক।
১৬৬৪ : ওলন্দাজদের কাছ থেকে ইংল্যান্ড কেড়ে নেয় নিউ আমস্টারডাম শহরটির নতুন নাম হয় নিউ ইয়র্ক।
১৬৬৪ : সেন্ট গোথার্ডের যুদ্ধ, অস্ট্রিয়ার কাছে তুরস্কের পরাজয়।
১৬৬৪ : সুবাদার শায়েস্তাখান।
১৬৬৫ : লন্ডনে দেখা দেয় প্লেগ মহামারী। দ্বিতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধ শুরু (১৬৬৭ সাল পর্যন্ত)।
১৬৬৫ : দ্বিতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধ (চলে ১৬৬৭ সাল পর্যন্ত)। ইংলিশ নৌবহরের কাছে। ডাচ নৌবাহিনীর পরাজয়।
১৬৬৫ : নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব আবিষ্কার।
১৬৬৫ : কবি আলাওলের তোহফা কাব্যরচনা সমাপ্ত।
১৬৬৬ : লন্ডনে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
১৬৬৭ : মেডওয়ে নদীতে ওলন্দাজ নৌবাহিনীর হাতে ব্রিটিশ নৌবহরের পরাজয়।
১৬৬৭ : নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের মধ্যে ব্রেড়া চুক্তি স্বাক্ষর।
১৬৬৭ : আন্ট্রাসোভো চুক্তি : রাশিয়া পোল্যান্ডের কাছ থেকে লাভ করে স্মলেনস্ক এবং পূর্ব ইউক্রেন।
১৬৬৮ : ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের সমন্বয়ে ফ্রান্সবিরোধী ত্রিপক্ষীয় জোট।
১৬৬৮ : লিসবন চুক্তি : পর্তুগালের স্বাধীনতার প্রতি স্পেনের স্বীকৃতি।
১৬৬৯ : তুরস্ককে ক্রিট ফিরিয়ে দেয় ভেনিস।
১৬৬৯ : ক্রিট দ্বীপকে (ক্যাভিয়া) তুরস্কের হাতে তুলে দেয় ভেনিস।
১৬৬৯ : মোগল সৈন্যের আসাম আক্রমণ।
১৬৭০ : রোমান ক্যাথলিক ধর্ম ইংল্যান্ডে পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে রাজা দ্বিতীয় চার্লস এবং ফরাসি সম্রাট চতুর্দশ লুইয়ের মধ্যে গোপন চুক্তি।
১৬৭০ : রাশিয়ার কৃষক ও কসাক বিদ্রোহ (১৬৭১ সাল পর্যন্ত)।
১৬৭২ : নেদারল্যান্ডসের সিংহাসনে বসেন রাজা তৃতীয় উইলিয়ম।
১৬৭২ : তৃতীয় অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধ (৬৭৪ সাল পর্যন্ত)
১৬৭২ : ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু (১৬৭৮ সাল পর্যন্ত)
১৬৭২ : ফ্রান্স ও সুইডেনের মধ্যে স্টকহোম চুক্তি স্বাক্ষর।
১৬৭৪ : নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রোম সাম্রাজ্যের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৬৭৪ : ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে ওয়েস্টমিনস্টার চুক্তি স্বাক্ষর।
১৬৭৫ : নিউ ইংল্যান্ডে রাজা ফিলিপের যুদ্ধ শুরু (চলে ১৬৭৬ সাল পর্যন্ত)।
১৬৭৫ : ফেরবেলিনের যুদ্ধ : ফেডারিক উইলিয়ম পরাজিত করেন সুইডিশ বাহিনীকে।
১৬৭৫ : রাজা ফিলিপের যুদ্ধ : নিউ ইংল্যান্ডে বসতিস্থাপনকারীদের ওপর আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের আক্রমণ।
১৬৭৬ : জুরাভনো চুক্তি স্বাক্ষর, তুরস্ক লাভ করে পোলিশ ইউক্রেন। ভারতে শিখ বিদ্রোহ (১৬৭৮ পর্যন্ত অব্যাহত)।
১৬৭৬ : ভারতে শিখ বিদ্রোহ (১৬৭৮ সাল পর্যন্ত অব্যাহত)।
১৬৭৬ : পোল্যান্ড ও তুরস্কের মধ্যে জুরাভনো চুক্তি পোলিশ ইউক্রেন লাভ করে তুরস্ক।
১৬৭৭ : নেদারল্যান্ডসের রাজা তৃতীয় উইলিয়ম বিয়ে করেন ইয়র্কের ডিউক জেমস এর কন্যা মেরিকে।
১৬৭৭ : রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধ (১৬৮১ সাল পর্যন্ত)
১৬৭৮ : ফ্রাঙ্কো-ডাচ যুদ্ধের অবসান চুক্তি।
১৬৭৯ : ইংল্যান্ডে ‘হেবিয়াস করপাস’ আইন পাস, বিনাবিচারে আটক নিষিদ্ধ।
১৬৭৯ : ইয়র্কের রোমান ক্যাথলিক ডিউকের বিরোধিতা করেন দ্বিতীয় চার্লস; ভেঙ্গে দেন পার্লামেন্ট। নতুন পার্লামেন্ট গঠনের আহ্বান জানায় হুইগরা। বিরোধিতা করে রাজঅনুগত টোরিরা।
১৬৭৯ : শায়েস্তা খান দ্বিতীয়বার সুবাদার।