নওগাঁর ধামইরহাটে সাধারণ জনগণের যাতায়াতের জন্য গ্রামীন সরকারী রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ করলে থানা পুলিশ দ্বন্দ নিরসন না হওয়া পর্যন্ত নির্মান বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ার একদিন পরেই আবারও সরকারী জায়গা জবর দখলের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চকসুবইল গ্রামে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকসুবল গ্রামে সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত রাাস্তার উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ হয়, সে সময় মৃত ছফের আলীর ছেলে আবদুল হামিদ ও তার চার ছেলে মোস্তাফিজুর, স্বপন, মোন্তাজুল ও মনির তাদের গ্রামের রাস্তার জমির কিছু অংশ সংলগ্ন স্থানে খনন করে বাড়ী নির্মানের চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়লে সেখানে স্থাপনা নির্মানে বাধা দিলে স্থানীয় মৃত নজির উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে আবদুল হামিদ গংএর বাকবিতন্ডা হয়। এক পযায়ে বিষয়টি ১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কালাম আজাদ ও তাজনুর এর সম্মুখে আবদুল হামিদ গং লাঠি-সোটা নিয়ে রফিকুল ইসলামদের মারপিটের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ করলে ১৯ সেপ্টেম্বর থানার এস.আই ছলেমান হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সঠিক মাপযোগের পরামর্শ দিয়ে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্থাপনা নির্মানে নিষেধ করেন। বিবাদী আবদুল হামিদ গং ঘটনার ১দিন পরে অদ্য ২১ সেপ্টেম্বর আবারও সরকারী রাস্তার জায়গা দখলে নেবার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সংবাদকর্মীদের খবর দিলে আবারও সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই অভিযুক্তগণ কর্তৃক উত্তেজনা পরিস্থিতি লক্ষ করা যায়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবুল কালাম আজাদ বিবাদীদের আত্মীয় হওয়ায় তিনি পক্ষপাতমুলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন বাদীর ছেলে মাহবুব আলম ও ফজলুর রহমানের ছেলে নুরুল আমিন। তবে ইউপি সদস্য নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী করে বলেন, ‘আমি কারও পক্ষ নেয়নি, মাপযোগে যা হবে সেটাই সকলকে মেনে নিতে হবে, আমাকে বাদ দিয়ে অভিযোগকারীরা থানায় যাওয়ায় আমার মন খারাপ হয়েছে, কেননা বাদী বিষয়টিকে আরও জটিল করতে চেয়েছে।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী জানান, জমির ম্যাপ ও মাপযোগ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিস বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা সম্ভব না, তবে আইন শৃঙ্খলার অবনতির করে কেউ ফৌজদারী অপরাধ করলে গ্রহণ করা হবে।