সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি টাকা বিদ্যুত বিল বকেয়া থাকায় সড়ক বাতি ও পানির লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নগরীর সড়কগুলোতে বিদ্যুত না থাকায় ভুতুরে অবস্থা বিরাজ করেছে।
বুধবার সকালে ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফারুক হোসেন জানান, সিটি কর্পোরেশনের কাছে ওজোপাডিকোর ৫৯ কোটি টাকা বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকার জন্য ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন আটটি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন জানান, বকেয়া বিল আদায়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। এমনকি বিভাগীয় কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে কোন সমাধান না পাওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তার অধীনে সাতটি সড়কের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ওজোপাডিকো বরিশালের পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, প্রায় ১০ বছর যাবত বিদ্যুত বিল পরিশোধ করছে না সিটি কর্পোরেশন। ফলে সরকারের কাছে আমাদের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। সেই টাকা উত্তোলন করতে না পেরে মন্ত্রণালয়ের চাঁপের মুখে সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বাতির বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নে করতে বাধ্য হয়েছি।
বুধবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্ব ৮০ লাখ টাকার বিল জমা দেয়া হয়েছিলো। এরপর কোন নোটিশ না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে ১২টি পানি উত্তোলনের মোটর ও সড়কের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তিনি আরও জানান, ওজোপাডিকো কেন এই কাজটি করল এবং কার অনুমতি নিয়ে করল তা বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে আমাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ করে তারা সড়ক বাতি এবং পানি সরবারহের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় নগরীর সব সড়ক ও পানির লাইনের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। পানি উত্তোলন করতে না পারায় নগরীতে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।