সার সরবরাহসহ কমিশন বৃদ্ধিতে রংপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিসিআইসি’র ডিলাররা। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডব্লিউএম রায়হান শাহ’র কাছে স্বারকলিপি দিয়েছে বিসিআইসি’র ডিলাররা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএফএ রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএফএ’র উপদেষ্টা মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, বিএফএ রংপুরের সহ-সভাপতি শেখ মোঃ ফরিদসহ অন্যরা।
স্বারকলিপিতে বলা হয়, ২০২০-২৩ অর্থ বছরে রংপুর জেলায় ইউরিয়া ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭৬ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন, টিএসপি ২১ হাজার ৩২১ মেট্রিক টনের বিপরীতে ৯ হাজার ৭৭৬ মেট্রিক টন, ডিএপি ৯২ হাজার ৩৬৩ মেট্রিক টনের বিপরীতে ৫৭ হাজার ২৮ মেট্রিক টন ও এসওপি ৯৩ হাজার ৩৯০ মেট্রিক টনের বিপরীতে ৩০ হাজার ২৩৬ মেট্রিক টন সরবরাহ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এ ছাড়া ১৯৯৬ সাল থেকে ডিলারশীপ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সারের কেরিং, হ্যান্ডেলিং ১’শ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত ২৫ বছরে কয়েক দফা জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন খরচ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, বিদ্যুতের মূল্য, সারের জমা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিশন বৃদ্ধি না পাওয়ায় ডিলারদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ডিলাররা চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ নিশ্চিত ও কমিশন বৃদ্ধির দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমদানীকৃত নন-ইউরিয়া (টিএসপি, এমওপি, ডিএপি) সার নর্দান জোনের রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুরে ডাম্পিং করে অথবা জেলা ভিত্তিক বাফার গুদাম হতে সার সরবরাহের দাবী জানানো হয় স্বারকলিপিতে।