মুন্সীগঞ্জে আজ (বুধবার) বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ৫জন বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ব হয়।এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদরসার্কেল) সহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী,পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হয়েছে।গুলিবিদ্ব মারাতœক আহত ২ জন কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ১০ টি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ও ৩ টি ট্রাক ভাংচুর করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষ্যদর্শিরা জানায়,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি জেলা শহরের উপকন্ঠে মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুর আড়াইটা থেকে মুক্তারপুর এলাকার আশপাশে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। পুলিশও সেখানে অবস্থান নেয় আগে থেকেই। বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল করে পুরাতন ফেরীঘাট এলাকায় আসতে শুরু করে। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিলে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে।বিএনপি কর্মীরা একপর্যায়ে চারদিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশও ব্যাপকভাবে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে।এসময় গুলিতে ৫ জন বিএনপিকর্মী গুলিবিদ্ব হয়।অসমর্থিত সূত্রানুযায়ী একজনের মাথার পাশে অপর জনের মুখমন্ডল গুলিতে বিকৃত হয়ে গেছে।টিয়ার শেলে এলাকা অন্ধকার হয়ে গেলে এবং গ্যাসের ঝাঝে এলাকায় অসহনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।ক্ষুব্ধ বিএনপিকর্মীরা সেখানে থাকা পুলিশের প্রায় ১০ টি মোটরসাইকেলপুরিয়ে দেয়।
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যেও উর্দ্ধগতি,দেশব্যাপি নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমন,হামলা মামলা ও বেগম খালেদাজিয়াকে মুক্তির দাবীতে পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সদর উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ শহর ও মিরকাদিম পৌরবিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্তারপুর ফেরীঘাট এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে জড়ো হচ্ছিল। এ সময় দু’দি;ক থেকে পৃথক দু’টিমিছিলআসছিলো।হঠাৎ পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলকারীদের বাধাঁ দেয় এবং আক্রমনাত্মকহয়ে উঠে। মিছিলের ব্যানার কেড়ে নেয় ও লাঠিচার্জ করে। এতে নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান বিএনপি নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে পুলিশের উপর হামলা চালায় এতে ২০জন পুলিশ সদস্য আহত হন।অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।বর্তমানে মুক্তারপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।পরিস্থিতি থমথমে।