নিয়ামতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ফলে সেবা গ্রহিতা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন বিমূখ হয়ে। এর শিকার হয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউয়িনের ইউপি চেয়ারম্যানরাও। ফলে জনগণের দ্রুত সেবাপ্রদানকারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তর কর্মবিরতিতে থাকায় বিপাকে অনেকে।
কেন্দীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করছেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি পালন করেন দূর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরগণ। অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের আলোকে প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। দাবিগুলোর মধ্যে আছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) পদে আপগ্রেডেশন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পদ আপগ্রেডেশন, সচিবালয়ের মত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মচারীর পদ নাম পরিবর্তন ও আপগ্রেডেশন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব শুন্যপদ পদোন্নতি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিসে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করায় সেবা নিতে এসে সেবা না পেয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেন ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক, পাঁড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহারুল ইসলাম বুলু প্রমূখ।
ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক প্রতিবেদককে বলেন, আমরা প্রান্তিক জনগনের সেবক। পিআইও অফিস হলো জনগণের দ্রুত সেবাপ্রদানকারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এ অফিস বন্ধ থাকলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। তাই দ্রুত সকল সমস্যা সমাধান করে সকল কাজকর্ম স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তরিকুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি চলছে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র থেকে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।