জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি নির্মমভাবে নিহত চাচা আনছার সরদার (৬৫) হত্যাকান্ডে প্রধান আসামি ভাইপোসহ কয়েকজন আটক হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাযায়নি। জানাযায়, ২ জুলাই শনিবার ভোরে ফজরের নামায় পড়তে যাওয়ার সময় আকস্মিক ভাইপোসহ ভাড়াটিয়াদের গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হন কপিলমুনির রেজাকপুর গ্রামের আনছার সরদার (৬৫)। এরপর তাকে উদ্ধারের পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে সোমবার ৪ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনায় নিহতের ছেলে আবদুর রহিম সরদার বাদী হয়ে মৃত কওছার সরদারের দু’ছেলে আলতাফ ও সিদ্দিক সরদারসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করে। ঘটনার পর থেকে আসামীদের সকলে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিহত আনছার রেজাকপুর গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, রেজাকপুর গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে নিহত আনছারের সাথে তার অপর মৃত ভাই কওছারের ছেলে আলতাফ ও সিদ্দিক সরদারের সাথে জমি-জমার বন্টন সংক্রাস্তে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে বিভিন্ন সময় শালিস-বিচারেও নিষ্পত্তি নাহওয়ায় সর্বশেষ ঘটনার অন্তত ১৫দিন আগে এক শালিসীতে বিবাদমান জমির জরিপ করে আইল-সীমানা নির্দ্ধারণ করে খুটি পুঁতে দেওয়া হয়। তবে আনছার সরদার তা মেনে না নিয়ে খুঁটাগুলো উপড়ে ফেললে সর্বশেষ গোলযোগের সৃষ্টি হয়। ঐ ঘটনায় পিটুনির শিকার চাচা আনছার সরদারের মৃত্যু হয়। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরের দিন ৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা হলেও পলাতক থাকায় পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মামলার প্রধান আসামীসহ কয়েকজনকে ঢাকার নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পারিবারিক সূত্র বলছে, আসামীদের অন্তত ৫জনকে আটক করা হয়েছে বলে তারা শুনেছেন। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে আসামি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।