নারীর পর্দা ও হিজাব প্রধা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মুক্তদির চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্যের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আলেম সমাজ। রোববার দুপুরে (১৮/০৯) স্থানীয় ডাকবাংলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে নবীনগরের আলেম-উলামা ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ চ্যালেঞ্জ গ্রহনের ঘোষনা দেন নবীনগর এসআর মসজিদের খতিব মুফতি বেলায়েত উল্লাহ।
জানাযায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ কলেজে শেখ হাসিনা অ্যাকাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শিক্ষার মান উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার এবং এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের এমপি র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছাত্রীদের হিজাব পরা দেখে তিনি বিরক্তবোধ করে বলেন, আমি যখন কলেজে প্রবেশ করছিলাম তখন আমার কাছে মনে হয়েছিলে আমি কোন মাদ্রাসায় ডুকছিলাম। কেউ যদি ইচ্ছে করে হিজাব পরে পরুক কোন রকমের অসুবিধা নাই। কলেজে হিজাবকে বাধ্যতা মূলক করা ঠিক না। আমি চ্যালেন্স দিয়ে যাচ্ছি, এখানে কেউ যদি প্রমান করতে পারে ইসলাম ধর্মে হিজাব পরার নির্দেশ আছে আমি তার কাছে তওবা পড়ে মুসলমান হবো। চ্যালেন্স দিয়ে গেলাম। পারবেনা কেউ প্রমান করতে। এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
পর্দার বিধানকে নিয়ে ওবায়দুল মুকতাদির চৌধুরীর চ্যালেঞ্জিং বক্তব্যের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আলেমগন পবিত্র কোরআন শরীফ সাংবাদিকদের সামনে খোলে প্রতিটি অয়াতের ব্যাখা করে বলেন, পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত পর্দা প্রথা আল্লাহর ফরজ বিধান। সূরা আহযাবের ৫৯ ও সূরায়ে নূরের ৩১ নং আয়াতে এবং হাদিস-জামেয়া তিরমিজ গ্রন্থে ১ নং খন্ডে ২২২ ও ফতুল বারীর ৮নং খন্ডের ৫৪ নং পৃষ্টাসহ অসংখ্য হাদিসে আল্লাহতায়ালা মোমেন নারীদের পর্দা’র কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন। তিনি এই বক্তব্য দিয়ে আল্লাহ’র বিধানকে অস্বীকার করেছেন। র.আ.ম ওবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী যে চ্যালেন্স করেছেন আমরা নবীনগরের আলেম-উলামা তার চ্যালেন্স গ্রহন করলাম। উনি যে দিন বসতে চাই আমরা সেই দিন বসবো। উনি যদি আলেম সমাজের সাথে বসতে না চান প্রকাশ্যে মুসলিম জাহানের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহ বিধানকে অস্বীকার করায় তিনি আর মুসলমান নন, মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে গেছেন। তিনি ওতবা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বতব্য পাঠ করেন, এসআর মসজিদের খতিব মুফতি বেলায়েত উল্লাহ। এ সময় মওলানা মোকবুল হোসাইন,মাওলানা আমিরুল ইসলাম,মাওলানা মেহেদী হাসান,হাফেজ মাওলানা মোঃ সানাউল্লাহ,মাওলানা ফজুলর রহমান,মাওলানা আবদুর রউফ,আলহাজ¦ আবদুল খালেক,মাওলানা খাদেমুল ইসলামসহ বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামগন উপস্থিত ছিলেন।