উপকূলবাসির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সামনে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স'র সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচি ২০২২ উপলক্ষে ঐ কর্মসূচি পালন করা হয়। অবরোধ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধিপরামর্শ ফোরামের সম্পাদক রনজিৎ বর্মন, সদস্য মানবেন্দ্র দেবনাথ, ইউপি মহিলা সদস্য দেলোয়ারা বেগম, উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান ও সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মিলন, স্বরুফ ইয়থ টিমের নির্বাহী পরিচালক জান্নতুল নাঈম প্রমূখ।
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চল তথা সারাবিশ্বের উন্নয়নের সকল পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে। উন্নত দেশগুলি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ কোন ভূমিকা না রেখেও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা ও ক্লাইমেট জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য সুইডেনের স্কুল ছাত্রী প্রতিবাদী শিশু গ্রেটা থানবার্গের ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার, সারাবিশ্বের সাধারন জনগণ, যুব ও স্কুল শিক্ষার্থীরা জনসমাবেশ, র্যালি, মানববন্ধন ও পথসভা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিডার্স, শ্যামনগর জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরাম সারাবিশ্বের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশের উপকূলীয় সমস্যা ও দাবিগুলি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে “বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচি পালন” করছে।
প্রথমে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একত্র হয়ে ব্যানার ও প্লাকার্ড প্রদর্শণ করে র্যালি বের করে। র্যালিটি থানা মোড় ঘুরে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে মেইন রোড অবরোধ করে। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল।
অবরোধে বক্তারা বলেন, “আমরা উপকূলে বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আজ যদি আমরা সচেতন না হই এবং আমরা আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ব। এজন্য সকলকে এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করার আহবান জানাচ্ছি।
বক্তারা দাবী তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলকে দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণ করতে হবে, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আদলে উপকূলের একটি বাড়ি একটি শেল্টার প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে, উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলের সকল মানুষের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।