পাবনার সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে এ জনপদের আড়াই লক্ষ মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ৩১ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ৫১ শয্যার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং সহকারী সার্জন ও মেডিকেল অফিসার মিলে মোট ৩০জন ডাক্তার কর্মরত থাকার কথা। কিন্তু গত ২০ বছরেও সুজানগরবাসী ৩০ জন ডাক্তারের মুখ দেখতে পাইনি। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তাসহ ১০জন ডাক্তার কর্মরত রয়েছে। তবে এর মধ্যে কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারও নেই। গাইনি, ডেন্টাল এবং চক্ষুসহ ১০জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদই শূন্য রয়েছে। ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গ্যাস্টিক এবং ছোট খাটো কাঁটা ফাটা ছাড়া কোন জটিল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়না। জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত কোন রোগী এখানে আসলে জরুরী বিভাগ থেকেই পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে যে সকল দরিদ্র ও দুঃস্থ রোগীর পাবনা যাওয়ার সামর্থ নেই তাদের বাড়ি ফিরে গিয়ে হাতুড়ে ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিতে হয়। প্রতি বছর ২/৪জন রোগী গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার কারণে মারা যায় বলেও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন এবং বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ভুক্তভোগী রোগীরা আরও জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রেরও সংকট রয়েছে। ডাক্তারদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধই বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনতে হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে কেবল প্যারাসিটামল, এন্টাসিড, স্যালাইন, গা ব্যাথার ক্যাপসুল এবং ২/১টি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার সানজিদা মুজিব বলেন ডাক্তার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে ওষুধের কোন সংকট নেই। সরকারিভাবে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রয়োজনীয় সকল ওষুধই রোগীদের দেওয়া হয়।