রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকাল ১১টায় উপজেলার চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পশ্চিমে পদ্মা নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলে এর উদ্বোধন করেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সারওয়ার-ই-জাহান, সহকারি প্রকৌশলী রাসেল আহম্মেদ, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ভাঙ্গন থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে অবস্থান করছে। চরকালিদাসখালী, জোতকাদিরপুর, দিয়ারকাদিরপুর, লক্ষীনগরসহ ১৫টি চর ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ২৫টি বাড়ি, আম বাগান, বরই বাগান, পেয়ারা বাগান, শাকসবজি, আখ ক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
পদ্মার চরে মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাসখালী, পূর্ব চকরাজাপুর এগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়। চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এই দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলমের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে এরমধ্যে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। চকরাজাপুর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পদ্মা তীর রক্ষার্থে কাজ করলে চকরাজাপুরবাসি নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, নদী খনন করলে নাব্যতা ফিরে পাবে এবং নদীর মূল ¯্রােতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। এর সাথে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি বাঁধ, আই বাধঁ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।