পাবনার চাটমোহরে আশংকাজনকভাবে বেড়েছে চুরির ঘটনা। প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে দুঃসাহসিক চুরি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের পাথাইল হাট গ্রামে। দুর্বৃত্তরা ওই গ্রামের দুলাল হাজীর বাড়িতে ঢুকে ঘরের ছিটকিনি খুলে অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তারাবাড়ির মহিলাকে জিম্মি করে আলমারীসহ সব কিছু তছনছ করে। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ ছিলনা বলে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসকল চুরির সাথে জড়িতরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে চুরির পর চুরির তালিকায় যোগ হয়েছে মোটরসাইকেলও। চাটমোহর রেলবাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহরম মল্লিকের একটি মোটরসাইকেল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে চুরি হয়েছে। মহরম মল্লিক তাঁর বাজাজ ডিসকভার ১৫০ সিসি (নং পাবনা ল-১১-৫৮৫১) মোটরসাইকেলটি অমৃতকুন্ডা (রেলবাজার) বাড়ির সামনে রেখে ভেতরে যায়। বাড়ির ভেতর থেকে ফিরে এসে দেখেন মোটরসাইকেলটি নেই। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সেটির সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে।
এদিকে বাসা-বাড়িতে চুরির ঘটনা বাড়ছে। বেড়েছে মাদকসেবীদের অপতৎপরতা। মাদক ব্যবসায়ীরাও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের ছোট শালিখা মহল্লায় দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোর ওই মহল্লার জনৈকা আসমার বাড়িতে ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও প্রায় ২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এরআগে গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার কাজীপাড়া মহল্লায় একটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটছে। চোর বাসার হেজবল কেটে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। চাটমোহর সরকারি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আনসারীর বাসার ভাড়াটিয়া পুস্তক ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামান রোকনের বাসায় এ চুরি সংঘটিত হয়। তার দাবি চোর প্রায় ৫ লাখ টাকার সম্পদ নিয়ে গেছে। কিছুদিন আগে পৌরসভার ছোট শালিখা মহল্লার ভাড়াটিয়া নিমাইচড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম মুক্তির বাসায় চুরি সংঘটিত হয়। চোর বাড়ির জানালা কেটে ভেতরে ঢুকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়। একাধিক দোকান ও ওয়ার্কশপেও চুরি হয়েছে বলে জানান চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। এসকল চুরি কোন কূল-কিনারা করতে পারছেনা পুলিশ। একের পর এক চুরির ঘটনায় গৃহকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কারণ অধিকাংশ বাসা-বাড়ির নারী-পুরুষ দিনের বেলায় চাকুরি অথবা ব্যবসার জন্য বাইরে থাকেন। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও চোর থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন জানান,তারা চোর সনাক্ত ও ধরতে চেষ্টা করছে। জনগণকে সচেতন করতে সভা করা হয়েছে।