আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নগরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকার। রাজশাহী সিটি কর্পোরশেন এই জাতীয় অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব প্রদান করে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তবে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সার্বজনীন এই স্বাস্থ্যসেবাটি প্রান্তিক মানুষের দোড় গোড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আয়োজনে ইউএসএআইডি লোকাল হেল্থ সিস্টেম সাসটেইনেবিলিটি (এলএইচএসএস) প্রকল্পের ২দিন ব্যাপী পিয়ার লার্নিং কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহানগরীর হোটেল-এক্স হল রুমে আয়োজিত কর্মশালায় নগর পর্যায়ে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ সৃষ্টিতে ইউএসএআইডি-এলএইচএসএস প্রকল্প বাংলাদেশের রাজশাহী, চট্ট্রগ্রাম ও সিলেট সিটি করপোরেশন ও ১১টি পৌরসভায় কীভাবে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে আসছে তা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন আরো বলেন, ইউএসএআইডি লোকাল হেল্থ সিস্টেম সাসটেইনেবিলিটি (এলএইচএসএস) প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যূ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহ বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ভূমিকা রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকা স্বাস্থ্যসেবায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম. শরিফ উদ্দিন। পিয়ার লার্নিং কর্মসূচির শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নূরুজামান টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক দেওয়ান মোরশেদ কামাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক মো. এনামুল হক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. তৌফিক বক্স।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচিত সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নগরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ও ফলাফল তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা নিয়ে কথা বলেন ইউএসএআইডি’র পলিসি অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ড. রিয়াদ মাহমুদ। আর নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে কথা বলেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম। অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, বগুড়া পৌরসভা টেন্ডারিং অভিজ্ঞতা, মৌলভিবাজার পৌরসভার স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং জয়পুরহাট পৌরসভার কোলাবোরেটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল মডেলের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের পক্ষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নগরভিত্তিক টেকসই প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্যেগের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় পারস্পারিক শিক্ষণ, দলীয় আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্যদিয়ে ১ম দিনের কর্মসূচিটি শেষ হয় বলে রোববার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজ মিশু।