বগুড়ার শেরপুরে মহিপুর কলোনি গ্রামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের দায়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে শরিফ উদ্দিন (২২) কে আটক করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার মহিপুর গ্রামের প্রতিবন্ধি রাকিব হাসানের স্ত্রী মহিপুর পিসিভাটা এলাকায় রাব্বির ধানের চিটা ভাঙ্গানো মিলে বেশ কিছুদিন হলো কাজ করে আসছে। একই মিলে মহিপুর নতুনপাড়া গ্রামের দেলবর ওরফে দলিবর প্রামানিকের ছেলে শরিফ উদ্দিনও ড্রাইভার হিসেবে কাজ করে। একই মিলে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বেশ কয়েক বার শারিরীক সম্পর্ক করে। এমতাবস্থায় শরিফ উদ্দিনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা তালবাহানা করে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ভোর ৬ টার দিকে খোকনের ধানের চিটা ভাঙ্গানোর জন্য যাচ্ছিল ওই গৃহবধূ। এ সময় শরিফ উদ্দিন তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাব্বির মিলের শ্রমিকদের বিশ্রামের কক্ষে নিয়ে যায় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে শরিফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে শেরপুর থানা পুলিশের এসআই রামজীবন ভৌমিক রাত ১১ টার দিকে পিসিভাটা এলাকা থেকে ধর্ষক শরিফ উদ্দিন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, আটককৃতকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।