ভিটাবাড়ীসহ সকল জমি বিক্রি করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে জাকির হোসেন পাড়ি জমান সৌদি আরবে। সেখানে গিয়ে কাজে যোগদানের ৩ দিন পর অসুস্থ হয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জাকির হোসেনের।
জাকির হোসেন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাদুরতলা এলাকার মৃত আবুল হোসেন মুসুল্লির বড় ছেলে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি সময় বেলা এগারোটায় একটি হাসপাতালে জাকিরের মৃত্যু হয় এবং রোববার সকালে সৌদি আরবে একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহ জালাল বিমান বন্দরে পৌঁছায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট জাকির হোসেন নিজের ভিটাবাড়ীসহ সকল জমি বিক্রি করে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পারি জমান। এর কয়েকদিন পরে ৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যায়।
সৌদি প্রবাসী মো. ইলিয়াছ মিয়া জানান, জাকির হোসেন দালালের খপ্পরে পড়লে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার ভিসায় ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি তার বাড়ীর সমস্ত জমিজমা বিক্রি করে সৌদি এসেছে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সৌদি আরবে অবস্থানরত ইলিয়াস মিয়া জানান।
জাকির হোসেনের ছোট ভাই ইব্রাহিম খলিল জানান, গত রোববার বেলা ১১ টার দিকে তার ভাইয়ের মরদেহ দেশে এসেছে। পরে সোমবার সকাল ৯টার সময় তাদের বাড়ীতে জানাযা শেষে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।