নীলফামারীর সৈয়দপুরে দালালের মাধ্যমে ঢাকায় যাওয়ার জন্য অনলাইনে টিকিট কেটে এক নারী যাত্রী। সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে তিনি কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত মুল্যে টিকিট সংগ্রহ করেন। এ সময় অতিরিক্ত দামের বিষয়টি বুকিং সহকারীর কাছে তুলে ধরলে তিনি রেগে ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এক পর্যায় নারী যাত্রীকে লাঞ্চিত করেন বুকিং সহকারীসহ আরও কয়েক জন।
ওই সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ওই বুকিং সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে সময় টিভির রিপোর্টারকেও আক্রমণ করতে এগিয়ে আসেন। পরে এশিয়ান টেলিভিশন সৈয়দপুর নীলফামারী প্রতিনিধি ওবায়দুল ইসলামসহ অন্যান্য মিডিয়া কর্মীরা স্টশনে গেলে ওই বুকিং সহকারী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে যাত্রী রাবেয়া ইসলাম মুন বাদি হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় বুকিং সহকারীসহ ৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে।
২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফরমে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিতের শিকার মুন সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা মহল্লার মৃত নাসিম হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকাস্থ রেলওয়ের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। অভিযোগে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় রাবেয়া আকতার মুন ১ অক্টোবরের ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য স্টেশনে যান। কিন্তু কাউন্টারের বুকিং সহকারী সাফ কথা জানিয়ে দেন ওই তারিখের কোন টিকিট নেই। তবে তিনি ওই মহিলা ট্রেনযাত্রীকে কালোবাজারে টিকিট পেতে সৈয়দপুর প্লাজার ২য় তলায় গ্লোবাল কম্পিউটার এ- ট্রেনিং সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে গেলে ৪টি টিকিটের মূল্য হিসেবে গ্লোবাল কম্পিউটারের মালিক মনোয়ার হোসেন ওই মহিলা ট্রেনযাত্রীর কাছে ১৫০০ টাকার স্থানে ৩২০০ টাকা গ্রহণ করে একটি স্লিপ দিয়ে পূণরায় স্টেশনের বুকিং সহকারীর কাছে পাঠান। ভুক্তভোগি রাবেয়া আকতার মুন জানান, বুকিং সহকারী জাহেদুল ইসলাম রনিকে ওই স্লিপ দেয়ার পর তাকে আক্কেলপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৪টি টিকিট (আসন ছ কোচের ৮৬, ৯০, ৯১, ৯২) এবং পার্বতীপুর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত ২টি টিকিট (আসন ছ কোচের ৫২ ,৫৬) টিকিট প্রদান করেন। অতিরিক্ত দাম কেন নেয়া হল এর প্রতিবাদ করলে দু’জন রেল কর্মচারী মিলে মহিলা যাত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে বুকিং সহকারীর কক্ষে আটকে মহিলা রেল কর্মচারীসহ চারজন মিলে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে। দেয়ালের সাথে মাথা চেপে ধরে চর-থাপ্পর মারতে থাকে তারা। একপর্যায়ে টিকিট ও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
এব্যপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মাহবুব হোসেন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি। তথ্য নিয়ে বাহিরে আসার সময় বুকিং সহকারী ক্ষিপ্ত হয়ে সময় টিভির সাংবাদিক ও সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাকির হোসেন বাদলের প্রতি মার মুখি হন।
এ ব্যপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, লাঞ্চিত মহিলার লিখিত অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।