রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং কাবিলপুর ইউনিয়নে বাল্য-বিবাহের হিড়িক সহ নানামূখী অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ নিকাহ রেজিস্টারের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী মহলের অভিযোগ ও সরেজমীনে প্রকাশ,অতি সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার কাজী সাকোয়াত হোসেন বাল্য বিবাহ নিবন্ধনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আজমপুর গ্রামের যাদের বাল্য বিবাহ নিবন্ধন করেছেন তাহারা হচ্ছে তানিয়া আকতার পিতা চাঁন মিয়া আকন্দ (আজমপুর ফকিরপাড়া) ফারজানা খাতুন পিতা ফজলুল হক (আজমপুর মন্ডল পাড়া) শারমিন আকতার পিতা তাঁরা মিয়া (চক-শোলাগাড়ি) মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যায়ণরতা এই সকল ছাএীদের বাল্য বিবাহের নিবন্ধনকারী নিকাহ রেজিস্টার সাকোয়াত হোসেন নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি ফি নিয়ে নিবন্ধন বহিতে নাম উঠিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্কা না হওয়া পর্যন্ত নিকাহের কাবিননামার নকল সরবরাহ না করায় অভিভাবক মহলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তাছাড়া, ইতঃপূর্বে চক-শোলাগাড়ি গ্রামের লোকমান হোসেনের মেয়ে চম্পা আকতারের বাল্য বিবাহ তিনি ইতঃপূর্বে নিবন্ধন করে দিলে ও সেখানে চম্পার সংসার স্হায়ী ভাবে না টেকায় ২৮/০৮/২০২২ ইং একই বৈঠকে তিনি পূর্বেকার স্বামী কে ডিভোর্স নিবন্ধন করে তৎক্ষণাৎ অন্যএ বিবাহ নিবন্ধন করেন।যাহা রীতিমত বে-আইনী। প্রচলিত আইনে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিকাহ রেজিষ্টারদের কর্মরত থাকার বিধান না থাকলে ও তিনি একই ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর হাজী কলিম উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় এবতেদায়ী প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন তাঁর ইনডেক্স নং আর-৩৭৯৮২০.একজন নিকাহ রেজিস্টারের জন্য একজন করে অফিস সহকারী রাখার বিধান থাকলে ও তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাঁর অধীনে একাধিক সাব-কাজী বা নিকাহ রেজিস্টার নিযুক্ত করে তাদের কে পৃথক পৃথক নিবন্ধন বহি সরবরাহ করেছেন। ওই সাব কাজীরা হচ্ছে যথাক্রমে সাদ্দাম হোসেন পিতা:আজহারুল ইসলাম গ্রাম:আজমপুর মোবাইল নং ০১৭৩৮-৬৭৭০৮৯.সাইদার রহমান পিতা:সমেস উদ্দিন গ্রাম:বড়-গোপীনাথপুর মোবাইল নং ০১৭৭৪-৭১৯৯২৮.আব্দুর রহমান খুশী পিতা:রফিকুল ইসলাম গ্রাম:শেরপুর মোবাইল নং ০১৭৪০-৫৮৪০০০. প্রকাশ থাকে যে, ওই নিকাহ রেজিস্টার অধিকাংশ দিনে তাঁর কর্মরত মাদ্রাসায় গড়-হাজির থেকে মাস শেষে শিক্ষা বিভাগ কর্তৃকপ্রাপ্ত মাসিক বেতন ও উৎসব-ভাতা সরকারি অংশ উওোলন করে থাকেন। যে দিবসে তিনি মাদ্রাসায় উপস্হিত হন সে দিবসে ও যথা-সময়ে আগমন ও প্রস্হানের সময়সূচী কখনোই যথাযথ ভাবে মানেন না। এ ছাড়া নিকাহ রেজিস্টারদের কে নিজ ইউনিয়নে উর্পযুক্ত কর্তৃপক্ষ কাজী অফিস স্হাপন পূর্বক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দিলে ও নিকাহ রেজিস্টার সাকোয়াতের বেলায় চিএ ভিন্ন, তিনি চতরা নামক পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ইকলিমপুর মৌজায় স্হায়ীভাবে বাড়ি করে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন এবং সেখানে তিনি স্হায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে অবস্হান করে-ই ওই "তিনজন" তথাকথিত সাব কাজীদের দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে নিকাহ ও ডিভোর্স নিবন্ধন করিয়ে থাকেন। কাবিলপুর ইউনিয়নের ভূক্তভোগী মহলের অভিযোগ সম্পর্কে কথিত নিকাহ রেজিস্টারের মতামত জানতে চাইলে তিনি ভূক্তভোগী মহলের অভিযোগ গুলো যথাযথ নয় বলে জানান