ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পরিবারের সদস্য ও সম্পদের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল রোববার দুপুরে পরিবারের সদস্য হেলাল উদ্দিন, আলাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, কাউসার গফরগাঁও প্রেসক্লাবের শামসুল হক মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে,৫০ কাঠা জমি বেদখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই এলাকার সাবিনা গং। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে হেলাল উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালে সাবিনার পিতা মৃত আবুল কালামকে কে বা কারা রাতের অন্ধকারে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে সে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনায় আমাদের পরিবারের সদস্যদের আসামি করে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ আমাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। এসুযোগে সাবিনা গং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট করে। এরপর ৫ একর জমি বেদখল করে। গত কয়েক মাস আগে আমাদের পরিবারের সদস্যরা জামিনে মুক্ত হয়ে বসত ঘরে থাকতে গেলে সাবিনা, তাঁর ভাই খোকন, জীবন ও নয়ন সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা করে আমাকে, আমার ভাই আলাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও কাউসারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাঁরা ফলজ গাছ কেটে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এখন আমরা আমাদের ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। জমিতে চাষাবাদ করতে গেলেই তারা হামলা করে। বসত বাড়িতেও থাকতে পারছি না। প্রতিনিয়ত আমাদের হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দিচ্ছে। এনিয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ দিলেও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জীবন বাঁচাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি ন্যায় বিচারসহ বসতবাড়িতে বসবাসের জন্য প্রশাসনের কাছে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সাবিনার সাথে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ৫ একর না তাদের ১ একর জমি পতিত পরে আছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য সৌকত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলমান। একাধিকবার এ নিয়ে শালিস দরবার করা হলেও সমাধান হয়নি। জমি বেদখলে আছে প্রায় সাড়ে তিন একর এটা সত্য। আর সাবিনার পিতার আবুল কালামের সাথে জমি নিয়ে হেলালের বিরোধ ছিলো। গুরুতর আহত আবুল কালাম মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলা হয়। তবে হেলালের পরিবার বসত ঘরে থাকতে না পেরে ও ফসলি জমির দখল না পাওয়াতে এখন মানবেতর জীবন যাপন যাপন করছে।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, উভয়েই থানায় অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।