রংপুরে হরিজন সম্প্রদায়ের কিশোরকে হোটেলে বসে খেতে না দিয়ে না দেয়া ও অসৌজন্যমূলক আচারণের ঘটনায় মানববন্ধন সমাবেশ করেছে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর কাছারি বাজারে মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি রাজা বাসফোর, সহ-সভাপতি রাজু বাসফোর, সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর, উপদেষ্টা শবরন বাসফোর, লিটন বাসফোরসহ অন্যরা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সদস্য অ্যাড. কামরুন্নাহার খানম শিখা, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু।
বক্তারা বলেন, দেশের সংবিধানে সকল নাগরিকদের জন্য সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ সমাজ হরিজনদের নিচু শ্রেণির বলে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, তাদের অধিকার হরণ করছে। তাদেরকে পিছিয়ে রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোন মানুষ পিছিয়ে থাকবে না। সবাইকে সমাজের মূল¯্রােত ধারায় আনা হবে। কিন্তু এ যুগেও একজন হরিজন সম্প্রদায়ের ছাত্রকে হোটেলে বসে খেতে দেয়া হচ্ছে না। তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। তারা হোটেলে খেতে পারবে না এমনটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে লিখিত আকারে দেয়া হচ্ছে। মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পরও যদি প্রশাসন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আগামীতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দিয়েছেন হরিজন নেতারা।
উল্লেখ্য, শনিবার (১ অক্টোবর) রংপুর নগরীর কাছারি বাজারস্থ মৌবন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের স্কুল ছাত্র জীবন বাসফোরকে (১৬) ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠে হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে ‘এই হোটেলে খাওয়া নিষেধ সুইপারের’ লিখে ওই হোটেলে হরিজনদের খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ ঘটনায় ফুসে উঠে হরিজন সম্প্রদায় ও সচেতনরা। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে হরিজন সম্প্রদায়ের নেতারা।