জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন নানা বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। চোখ ওঠা একটি সাধারন ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক বদরুল হাসান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রোগীদের সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চোখ ওঠা রোগে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে। চোখ ওঠা একটি সাধারন ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা সাধারনত ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন। কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে এ রোগ আরো তাড়াতাড়ি সেরে যায়। চোখে বার বার হাত না দেওয়া। রুমালের বদলে টিসু ব্যহার করা। ময়লাযুক্ত পানিতে গোসল না করা। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা। এসব মেনে চললে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত সেরে উঠেন।
কনজাংটিভাইটিস নামের এ রোগ অনেকের কাছে চোখ ওঠা রোগ নামেই বেশি পরিচিত। এ রোগটি বেশ ছোঁয়াচে। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দ্রুত অন্যজনে ছড়ায়। আক্রান্তদের অনেকে কালো চশমা ব্যবহার শুরু করেছেন। সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ১সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বদরুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, চোখ ওঠা একটি সাধারন ভাইরাস জনিত ছোঁয়াচে রোগ। কিছু নিয়ম মেনে চললে সাধারনত এক সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ সেরে যায়। চোখ ওঠলে বারবার হাত দিয়ে চোখ না চুলকানো। রুমালের পরিবর্তে টিস্যু ব্যবহার করা। ময়লাযুক্ত পুকুর বা নদী নালার পানিতে গোসল না করা। ঘরের বাহিরে গেলে চশমা ব্যবহার করা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।