মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরা। শিক্ষকরা চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে দেশের সর্বচ্চস্থানে পৌছে দিতে পারেন। শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন শীর্ষক এক সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব রথিন্দ্রনাথ দত্ত সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বাঘা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাই যদি আন্তরিভাবে চেষ্টা করে,তাহলে শিক্ষার মান উন্নয়ন হবেই, কেউ পিছিয়ে থাকবেনা। সবাই কষ্ট করে লেখা পড়া শিখে। যেমন আমি সরকারি চাকরিতে আসার পর নিজের অবস্থান থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করি। মানুষকে ভালোবাসি। কোন চাওয়া পাওয়ার বাইরে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করি।
সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপণ্ডসচিব থেকে রথীন্দ্রনাথ দত্ত যুগ্ম সচিব পদে পদন্নোতি পাওয়ায় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। রথীন্দ্রনাথ দত্ত রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজারুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক সুনীত কুমার দেবনাথের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষা কর্তকর্তা আবদুর মোমিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, উপজেলা রির্সোস সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর আনারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাজাহান আলী মোল্লাহ, আবদুল জলিল।
বক্তব্য রাখেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা, সাধারন সম্পাপদক নূরুজ্জামান, উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু, সাধারন সম্পাদক অপূর্ব সাহা, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
রাজশাহীর বাঘা প্রেস ক্লাব আয়োজনে রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় তাকে সংর্বধনা দেওয়া হয়। এ সবংর্ধনায় রথীন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, স্থিতিশীল সরকার দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তাই স্থিতিশীল সরকার দরকার। আগামীতে স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে হলে পরস্পরের সহযোগিতা দরকার। তাই বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে, তার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি। ঢাকা থেকে রাজশাহী আসতে আগে সময় লাগতো ৮ ঘন্টা। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার কারণে রোববার আমি ঢাকা ফার্মগেট থেকে নিজ বাড়ি রাজশাহীর বাঘায় আসতে সময় লেগেছে মাত্র ৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে আমার যেন অহংকার না হয়, সে জন্য আমাকে দোয়া করবেন। মানুষের জীবনে টাকার প্রয়োজন, তবে টাকাই মুল পরিচয় না, ব্যক্তি পরিচয় থাকলে কোন কাজ থেমে থাকেনা। তিনি বলেন, আমি বাঘার সন্তান, কারও ছোট ভাই, কারও বড় ভাই, আবার কারও মামা, চাচা, প্রতিবেশি। আপানাদের জন্য আমার দোয়ার সব সময় খোলা রয়েছে, যে কোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসবেন, আমার সাধ্যমতে কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আয়োজিত সংর্বধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা। সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানে পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাজুবাঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনোয়ারুল ইসলাম মামুন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনজারুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে বাকু, সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব সাহা, বাঘা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, বাঘা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম আলী, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আখতার রহমান।
উপস্থিত ছিলেন বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, বাঘা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন, বাঘা বাজার কমিটির সভাপতিশহিদুল মন্ডল, বাঘা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, অর্থ সম্পাদক লালন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ফজলুর রহমান মুক্তা, প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, সদস্য আবদুল হামিদ মিঞা, আবদুস সালাম, আবদুল কাদের নাহিদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসানুজ্জামান প্রিন্স, সুব্রত কুমার, দোয়েল প্রমুখ।
রথীন্দ্রনাথ দত্তকে বাঘা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।