বরিশালের হিজলার মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে বিক্ষুদ্ধ জেলেদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম.এম পারভেজসহ হিজলা থানা পুলিশের এস আই ফরিদ উদ্দিন ও কং মাহফুজসহ অন্ত্যত ৫জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৯ জেলেকে আটক করেছে প্রসাশন। ১৩ অক্টোবর ভোট ৫টার দিকে হিজলায় মেঘনার খালিশপুর এলাকায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করছিলেন উপজেলা প্রশাসনের একটি দল। এ সময় জেলেরা একট্টা হয়ে মা ইলিশ নিধনের মহোৎসবে মেতে ছিল মেঘনায়। এটা যেন জাতীয় সম্পদ ইলিশ ধ্বংশ করার জেলেদের আর একটি অভিযান। সংরক্ষণ ও নিধন পরস্পর বিরোধী অভিযানে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে জেলেরা। জেলেদের ইলিশ নিধন অভিযানে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সরকারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানকারী দল। ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেনা জেলেরা। একট্টা হয়ে অতর্কিত হামলা করে সরকারের দায়িত্ব পালনকারী অন্তত্য ৫ কর্মকর্তা কর্মচারীকে আহত করেছে তারা। আহত মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যকে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অন্যন্য সময়ের চেয়ে এ সময় নদীতে মাছ বেশী থাকায় ঘরে নেই কোন জেলে। মেঘনা ঘূরে এমন চিত্র দেখা গেছে, শত শত জেলে নৌকা নিয়ে ইলিশ নিধনের মহোৎসবে মেতে আছে। এটা যেন ঈদের আমেজ জেলে পল্লীগুলোতে। অপর দিকে দিবা রাত্রি নির্ঘূম পরিশ্রম করছে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মৎস্য দপ্তর, নৌপুলিশ, থানা পুলিশ ও কোর্সগার্ড। তবুও যেন ব্যর্থতার দায় নিয়েই সমাপ্তি করতে হবে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। শতকরা হিসেবে কোন সংখ্যাই যেন উঠে আসে না, অভিযানের সফলতায় বা স্বার্থকতায়। তবুও প্রাণপন চেষ্টা প্রশাসনের। প্রশাসন অভিযানে মরিয়া হলেও কোন ভুমিকা নেই লোকাল গর্ভামেন্ট জনপ্রতিধিদের। প্রশ্ন জেগেছে রেশনকার্ডভোগী জেলেদের বিষয়ে। স্ব-স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগনের নিকট জেলে তালিকা রয়েছে নিশ্চই। তাদের ভূমিকা রহস্যজনক। তবে কি জাতীয় সম্পদ রক্ষায় তাদের কোন ভূমিকা দৃশ্যমান হবেনা? এমন প্রশ্ন অভিজ্ঞ মহলের।