কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শকড়িয়াইল ইউনিয়নের বড়ইতলার গণহত্যা দিবস নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্মৃতিসৌধে ফুলের তোড়া দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। পরে ওই স্থানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও দুয়া করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার নিবাহী অফিসার মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাছুমা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিক, কর্শকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, কর্শকড়িয়াইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন,যশোদল ইউপি চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বড়ইতলায় নৃশংসতম গণহত্যায় শহীদ হয় ৩৬৫ জন, আহত হয় দেড় শতাধিক।
একাত্তর সালের এই দিনে (১৩ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকা- সংঘটিত হয় বড়ইতলা গ্রামে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ওই এলাকার ৩৬৫ জন ব্যক্তি প্রাণ হারান। প্রতি বছর ১৩ অক্টোবর এলে কিশোরগঞ্জবাসী এই ভয়াল দিনটির কথা স্মরণ করে এখনো আঁতকে ওঠেন।
স্বাধীনতার পর এলাকাবাসী শহীদদের স্মরণে বড়ইতলা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে শহীদনগর এবং হত্যাকান্ডস্থলে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। যার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্বাধীন বাংলার তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন অযতœ অবহেলায় থাকার পর একই স্থানে ২০০১ সালে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সম্প্রতি স্মৃতি স্তম্ভটি জেলা পরিষদের অথায়নে সংস্কার করা হয়েছে।