নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আরও ১২৭টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন জমিসহ রঙিন পাকা বাড়ি। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে এসব বাড়ি উপহার দিচ্ছেন। ভূমি বন্দোবস্তসহ বাড়ি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তরা তাদের স্বপ্নের বাড়িতে বসবাসের জন্য ব্যাকুল হয়েছেন। দালান বাড়িতে বসবাসের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নেওয়ায় গৃহহীনরা যেন আনন্দে ভাসছেন।
জানা যায়, উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ারডাঙ্গায়, পুটিমারীর ধাপেরডাঙ্গায় ও মাঝাপাড়ায় গৃহহীনদের জন্য নির্মিত হয়েছে এসব দৃষ্টিনন্দন বাড়ি। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীনকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তরা কেউ থাকেন পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়িতে বা অন্যের বাড়িতে। স্বপ্নের বাড়িতে পদার্পণের বার্তায় তারা এখন দিনক্ষণ গণছে।
বড়ভিটার টটুয়ার ডাঙ্গার গৃহহীন বিধবা হাওয়াতন (৬০), প্রতিবন্ধী মনোয়ারা বেওয়া (৬৫), অন্যের বাড়িতে আশ্রিত তাবিয়া বেগম (৬২) ও আবদুল খালেক জানান, এ্যাটে ইউএনও স্যার দুই-এক দিন পর আসে। মজবুত করে ঘরগুলো বানাইছে। অং করা শেষ হইছে। এখন হামাক ঘরের চাবি দিবে। হামরা দালানের বাড়িত থাকমো। যায় হামার থাকার কষ্ট দূর করছে। আল্লাহ্ তার ভালো করবে।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ হতে গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ ও দুই শতক করে খাস জমি বন্দোবস্ত করছেন উপজেলা প্রশাসন। তৃতীয় পর্যায়ে বড়ভিটায় ৫০টি ও পুটিমারী ইউনিয়নে ৭৭টি গৃহহীন পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে তৃতীয় পর্যায়ে ১০০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৭০টি ও প্রথম পর্যায়ে ১৪০টি গৃহহীন পরিবারকে জমি বন্দোবস্তসহ বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদেরকে এসব বাড়ি উপহার দিচ্ছেন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গৃহহীনদের জন্য তৃতীয় পর্যায়ের ১২৭টি বাড়ি নির্মাণ ও ভূমি বন্দোবস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে পুটিমারীর ৭৭টি বাড়ি দেওয়া হয়েছে। টটুয়ারডাঙ্গার ৫০টি বাড়ির চাবি ও দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।