পাবনার চাটমোহরে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে পুরোদমে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২০ হাজার ৫৮৩ ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ইতোপূর্বে চাটমোহর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৬১৬ জন। ইে হিসেব মতে চাটমোহর উপজেলায় ভোটার বেড়েছ প্রায় ৯ শতাংশ।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে নতুন ভোটারের ছবি তোলা, স্বাক্ষর গ্রহণ, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও দুই চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
চাটমোহর পৌরসভার কার্যালয়ে ৪ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের কেন্দ্র হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ অক্টোবর এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাইকোলা ইউনিয়নের কেন্দ্র ছাইকোলা ডিগ্রী কলেজে ১৩ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর, নিমাইচড়া ইউনিয়নের কেন্দ্র মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজে ১৭ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর, পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের কেন্দ্র বনগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর, মূলগ্রাম ইউনিয়নের কেন্দ্র অমৃতাকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর, ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কেন্দ্র ডিবিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর, ফৈলজানা ইউনিয়নের কেন্দ্র কুয়াবাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর, হরিপুর ইউনিয়নের কেন্দ্র হরিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর, বিলচল ইউনিয়নের কেন্দ্র বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদে ১০ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর, মথুরাপুর ইউনিয়নের কেন্দ্র মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১৩ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর, গুনাইগাছা ইউনিয়নের কেন্দ্র গুনাইগাছা ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটারের ছবি তোলা, স্বাক্ষর গ্রহণ, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও দুই চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
সংগৃহিত তথ্যাদি সম্বলিত ফরম-২ এর ভিত্তিতে চাটমোহর পৌরসভা কার্যালয়ে ১৯ নভেম্বর পৌরসভা ও উপজেলার বাদপড়া সকল ভোটারের ছবিতোলা, স্বাক্ষর, দশ আঙ্গুলের ছাপ ও দুই চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি গ্রহণ করা হবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলমগীর হোসেন জানান,সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্যের চেয়ে ছবি তোলা কিছু কম হতে পারে। কারণ বাড়ি বাড়ি গেয়ে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ কর্মের জন্য অন্যত্র চলে যাওয়ায় হয়তো ছবি উঠতে পারবে না।