ভূয়া প্রতিনিধি কার্ড নিয়ে প্রতিনিধি সভায় প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে উত্তর জেলার হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা, সংর্ঘষ ও চেয়ার ছোড়াছুরির ঘটনার একপর্যায়ে প্রতিনিধি সভা স্থগিত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে নগরীর সদর রোডস্থ কীর্তনখোলা মিলনায়তনের সভা কক্ষে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিনিধি সভার প্রধান অতিথি ও উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ এবং অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল প্রতিনিধি সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার বেলা এগারোটার দিকে জেলার হিজলা উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক আবদুল গফফার তালুকদার প্রতিনিধি কার্ড নিয়ে তার সমর্থকদেরসহ কীর্তনখোলা হল রুমে প্রবেশ করে।
অপরদিকে হিজলা বিএনপি সদস্য সচিব প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মোঃ মনিরের সমর্থকরাও কার্ড নিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করেন। এ সময় হল রুমে অতিরিক্ত কার্ডধারী প্রতিনিধি থাকায় একে অপরের সাথে বাগ্বিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলাসহ চেয়ার ছোড়াছুরি শুরু হয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতিনিধি সভায় হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল গফফার তালুকদারের একক স্বাক্ষরিত প্রতিনিধি কার্ড নিয়ে প্রতিনিধি সভায় প্রবেশ করা হয়। অপরদিকে সদস্য সচিব প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনিরসহ তিনজনের স্বাক্ষরিত আরেকদল কার্ড নিয়ে প্রতিনিধি সভায় প্রবেশ করায় আসন সংকট দেখা দেয়।
হামলা ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সম্মেলন স্থগিত করার পর হিজলা বিএনপি আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক প্রার্থী আবদুল গফফার তালুকদার তার সমর্থকদের নিয়ে টাউনহল সংলগ্ম জেলা ও মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যলয়ের সামনে এসে বিক্ষোভ করেন। তিনি (গফফার তালুকদার) বলেন, একমাত্র আহবায়কের স্বাক্ষরিত কার্ড ছাড়া কেউ প্রতিনিধি সভায় থাকতে পারবেনা। কিন্তু সদস্য সচিব প্রার্থী দেওয়ান মনির কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য করে আমার স্বাক্ষর জাল করে নিজেসহ তিনজনের স্বাক্ষর করে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিনিধি কার্ড তার কর্মীদের মাঝে বিতরণ করিয়ে সভাস্থলে ঢুকিয়ে আজকের সভা ভন্ডুল করিয়েছেন।
তবে সদস্য সচিব প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির বলেন, কোন ভূয়া কার্ড বিতরণ করা হয়নি। সংঘর্ষের কারণ হয়েছে তারা (গফফার তালুকদার) এমন কিছু লোককে কার্ড দিয়ে প্রতিনিধি সভায় এনেছে যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে কোনদিনও সম্পৃক্ত ছিলোনা। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।