প্রবাদ আছে কেউ থাকে গাছতলায় আবার কেউবা থাকে পাঁচতলায় "কথাটা যেন সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাছতলায় না থাকলেও মৃত্যুকালে পিতার রেখে যাওয়া ঘর করার মত সামান্য জমি থাকলে অর্থের অভাবে ঘর নির্মাণ করতে না পেরে বর্তমানে ছোট ঝুঁপড়িঘরে স্ত্রী, পুত্র, কন্যাকে নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন খুলনার পাইকগাছায় আগড়ঘাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আবুল হাসান। অন্যদিকে ঘর নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পেতে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিত্তবানসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন আবুল ও তার পরিবার। আবুল হাসান উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও সিলেমানপুর গ্রামের মৃত কান্তা মিস্ত্রীর পুত্র। আবুল হোসেন জানান, আমার যে সীমিত আয় তা দ্ধারা খেয়ে না খেয়ে দিন কেটে যায়। তাঁর ও পরিবারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে ঘর নির্মাণ করার মত অর্থ যোগান দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন ঘরটি মেরামর না করায় রোদ বৃষ্টিতে এখন বসবাস করার অযোগ্য হযয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে মাটির দেয়ালের তৈরি ঘরটি বৃষ্টির পানিতে নরম হয়ে পড়ে ঘটতে পারে প্রাণহানি সহ বড় দুর্ঘটনা। নষ্ট হওয়ায় ঘরের চালা দিয়ে পানি পড়ে মেঝে সহ ঘরে আসবাসপত্রগুলো বৃষ্টির পানির জমে। ঝড় বা একটু জোরে বাতাস হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় দুঃচিন্তা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তার পরিবারকে। কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার জোয়ার্দ্দার বলেন, আবুল হোসেন সত্যিই অনেক দরিত্র। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে জায়গা আছে ঘর নাই প্রকল্পটি এখন নাই। তারপরও বিকল্প ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।