বগুড়ার সারিয়াকন্দিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে। গত ১০ দিনের পানি বৃদ্ধিতে চরের নিচু এলাকায় রোপন করা স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও মাস কালাই, ভূট্টা ও শাক-সবজির জমি পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। এতে চরের চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় সারিয়াকান্দির কাছে যমুনা নদীতে পানি বেড়েছে ৪ সে:মিটার। তবে পানি এখনো বিপদ সীমার ৬০ সে:মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১০ দিন হলো পানি বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। আগামী ২ দিন পানি বাড়তে পারে। এরপর পানি কমতে শুরু করবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া গ্রামের চাষি আবদুল মতিন বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে এবার গাইঞ্জা ধানের চারা রোপন করেছিলাম এরমধ্যে ৪ বিঘা জমির ধান গাছ এ পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও সদর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের চাষি ওজিবর মোল্লা বলেন, সদ্য রোপন করা ২ বিঘা জমির গাইঞ্জা ধানের জমির ওপর দিয়ে প্রায় ৩ ফুট পরিমাণ পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ৫ বিঘা জমির মধ্যে ৩ বিঘা জমির মাস কালাই ১৫ শতক জমির শাকসবজির আবাদ যমুনার ঢলের পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
বোহাইল ইউনিয়নের শংকর পুর চরের চাষি আবদুস ছাত্তার বলেন, যমুনা নদীতে কার্তিক মাসে ঢলের পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আমি অনেক দিন পর দেখলাম। কার্তিক মাসের এ পানিতে চরের কৃষকদের সর্বনাশ হয়েছে। গাইঞ্জা আবাদ তলিয়ে যাওয়ায় আগামীতে ভাতের যোগান কিভাবে হবে তা আমরা ভেবে শেষ করতে পারছিনা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভগীয় প্রকৌশলী আবদুর রহমান তাসকিয়া বলেছেন, উজানে বর্ষা কালে বৃষ্টিপাত হয়নি, অসময়ে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় তার প্রভাবে যমুনা অব্যবাহিকায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম বলেন, বন্যাতো হয়নি, পানি বেড়েছে, এ পানি বৃদ্ধিতে ফসলের কেমন ক্ষতি হয়েছে আজকের মধ্যে তৈরী করে সোমবারের মধ্যে প্রকাশ করবো আশা করি।