খুলনার পাইকগাছায় পুলিশের কাছ থেকে রহস্য জনকভাবে হাতকড়া পরা পালানো আসামি এক মাসেও আটক হয়নি। অথচ এ ঘটনায় আসামীর শ্বশুর ও বোনকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে ধৃত জালাল ও নাজমার শারীরিক প্রতিবন্ধী দু’শিশুর আত্মনাদ থামছেনা। মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। এযেন মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় দেয়ার মত অবস্থা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার মটবাটী গ্রামের মোজাফফর গাজী (২৮)কে গ্রেপ্তার করেন এএসআই শরিফুল ইসলাম ও গোপাল চন্দ্র সাহা। সে যশোর কেশবপুরের একটি ঘটনার পাইকগাছা থানায় জিআর ১০৬/২৯ মামলার ওয়ারেন্টের আসামী। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে মোটরসাইকেলে করে থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় তার সাথে চুক্তি হয় ১০হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সে ৫ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়। একপর্যায়ে সে বলে সামনে তার শ্বশুর বাড়ী সেখান থেকে নিয়ে দিবে। পুলিশ যথারীতি মোটরসাইকেল তার শ্বশুর বাড়ীর সামনে এসে থামায় ও সে শ্বশুর জালাল গাজীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আনে। এ সময় সে তাকে টাকার কথা বলে। তার শ্বশুর বলে টাকা এত রাতে কোথায় পাবো এ কথা বলার এক ফাঁকে সে পালিয়ে যায়। তাকে আর ধরতে না পেরে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে। একই সময় তার বোন নাজমা খাতুনকে তার বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করে বলে তাদের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছে। এ ছাড়া জালাল গাজীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে পড়ার কক্ষ থেকে টানা হেচড়া করে এবং বলে তোর পরীক্ষা থানায় ফেলায় দেয়াবো। এদিকে ধৃত জালাল ও নাজমার দুজনের দুটি শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু সন্তান বাবা মায়ের জন্য দিনরাত কান্না কাটি করছে। এএসআই শরিফুল ইসলাম জানান, ধৃত আসামিরা মোজাফফরকে তাদের মারপিট করে ছিনিয়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা বলছে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো আসামি মোটরসাইকেলে দু’দারোগার মাঝখান থেকে পালাতে পারে? এ ছাড়া এ ঘটনায় স্বাক্ষী ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ ও জাহিদুল ইসলাম কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে দু’দারোগা তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেয় বলে জানান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।