জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার চাষীদের সবুজ মালটা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। প্রতি বছর স্থানীয় চাষীরা নতুন নতুন মালটা বাগান গড়ে তুলছেন। এখানে মালটা চাষে অনেকটা নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোর মাটি সবুজ মালটা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গত তিন বছরে এসব এলাকার চাষীরা ছোটবড় ২শ মালটা বাগান গড়ে তুলছেন। এসব মালটা বাগান থেকে চাষীরা চলতি বছর ৫০ লাখ টাকার মালটা বিক্রি করতে পারবেন।
পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চুড়া গ্রামের মালটা চাষী তরুণ উদ্যোগক্তা গোলাম মাওলা বলেন, তিনি লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারন, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় বিগত ২০১৯ সালে তার এক একর জমির বাগানে বারি-১ জাতের ১৫০ টি মালটা গাছের চারা রোপণ করেন। পরবর্তীতে আরো ১০০ টি মালটা গাছসহ বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে ২৫০ টি মালটা গাছ। এ বছর প্রায় ১০০ টি গাছ সবুজ মালটায় ভরে গেছে। গাছে প্রথম বার ফল ধরায় তিনি নিজ পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এসব মালটা বিতরণ করছেন। তিনি জানান, তার গাছের মালটা খেতে বেশ সুস্বাদু। আগামী বছর তিনি তার বাগানে উৎপাদিত মালটা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করবেন। এ ছাড়া তিনি তার বাগানে ৭০ টি কাজু বাদাম গাছ ও ১০০ টি কফি গাছ রোপণ করেছেন। এগুলো ফলবান হলে প্রতিবছর তিনি কমপক্ষে ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। তার এই বাগান দেখে এলাকার আইয়ুব আলী, শফিকুল ও ফারুক হোসেন নতুন বাগান গড়ে তুলছেন।
উদ্যোগক্তা গোলাম মাওলা বলেন, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা না থাকায় তার বাগানে শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পানি দিতে সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি সাব মার্সেবল পাম্প স্থাপনের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, পাহাড়ী এলাকার মাটি সবুজ মালটা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। গত তিন বছরে নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২শ মালটা বাগান গড়ে তুলছেন চাষীরা। ইতোমধ্যে ওইসব মালটা চাষীরা সফলতার মুখ দেখেতে শুরু করেছেন। চলতি সপ্তাহে ৬০ টি নতুন বাগানে রোপণের জন্য কৃষকদের মাঝে মালটা গাছের চারা বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া চাষীদের আর্থিকভাবে লাভবান করার জন্য উপজেলা কৃিষ অফিস থেকে উদ্বুদ্ধকরণ করাসহ সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।