সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়েল দেয়ার কথা বলে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সেন্টু হাওলাদার (৪৫) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। নগরীর বান্দরোডস্থ ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
রোববার সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতায়ালি মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুর আলম জানান, আটকের পর থানায় মামলা দায়ের করে সেন্টু হাওলাদারকে ওইদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার জেলার উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাহেরঘাট এলাকার বাসিন্দা ও মুদি ব্যবসায়ী জামাল হাওলাদার জানান, ওই এলাকার সৌদি মার্কেটে তিনি মুদি ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। যেখানে ধান কাটা শ্রমিক পরিচয় দিয়ে সেন্টু জানায় তার বাড়ির পাশের এক নারী বিদেশীদের বাসায় কাজ করতেন। বিদেশী ওই লোক মৃত্যুবরণ মৃত্যুবরণ করার পর বাসা পরিস্কার করতে গিয়ে কিছু রিয়েল পায়। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে থাকায় এটা নিয়ে কীভাবে কী করবেন তা বুঝতে পারছেন না তাই সহায়তা চান।
জামাল হাওলাদার বলেন, এর কয়েকদিন পর সেন্টু আমাকে ৫০ ও ১শ’ টাকার অরিজিনাল রিয়েলও দেখান। এরপর ছয় লাখ টাকার রিয়েল দেয়ার কথা বলে সেন্টু আমার কাছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমি পটুয়াখালী গিয়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা সেন্টুর কাছে দিলে তিনি আমাকে রুমালে পেঁচানো একটি প্যাকেট হাতে দিয়ে সামনে এগোতে বলেন। আমি সামনে গিয়ে রুমাল খুলে দেখি তাতে কাগজ ছাড়া আর কিছু নেই। এরপর থেকে সেন্টু আত্মগোন করেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন পর একইভাবে কমদামে রিয়েল বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সুজনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন সেন্টু। তখন বিষয়টি জানতে পেরে প্রতারণার শিকার জামাল প্রতারক সেন্টুকে ধরতে সুজনকে নিয়ে ফাঁদ পাতেন।
সুজন বলেন, জামাল ভাইয়ের প্রতারণার বিষয়টি আমি জানি। তাই সেন্টুর কাছে রিয়েল দেখতে চাই এবং রিয়েল নিয়ে বরিশাল নগরীতে আসতে বলি। শনিবার বিকেলে নগরীর বান্দ রোড এলাকার সাউথ কিং রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হয়। এ ঘটনায় জামাল হাওলাদার বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।