যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার কৃষ্ণনগরে (৩নং ওয়ার্ড) ২৬ দিন বয়সী শিশু কন্যা নুসরাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি আশরাফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাহিদুল ইসলাম ও পারভীন বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান। ধারণা করা হচ্ছে বাবা মায়ের বেকারত্বের কারণেই শিশুটি নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে।
নুসরাতের মা পারভীন জানান, শনিবার সকালে বাচ্চাটিকে ঘুম পড়িয়ে বাবার কাছে রেখে বাজার করতে যান। আধা ঘন্টা পর বাসায় ফিরে দেখেন বাচ্চাটি তার বাবার কোলে অসাড় হয়ে আছে। কি হয়েছে জানতে চাইলে বাচ্চার বাবা রাহিদুল বলেন, নুসরাত মারা গেছে।
তাৎক্ষণিক নুসরাতের মা বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে সাথে নিয়ে পার্শ্ববর্তী আনিকা ক্লিনিকে গেলে বাচ্চাটি মারা গেছে বলে জানায়।
তখন তিনি চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন এবং তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজ তোমার জন্য আমার বাচ্চাটি মারা গেছে। একথা উপস্থিত সবাই শোনেন।
প্রতিবেশীদের ধারণা, নিহত নুসরাতের বাবার বেকারত্বের কারণেই মানসিক অস্থিরতায় চলাফেরা করতো। সুস্থ বাচ্চাটি হঠাৎ মারা যাওয়া অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ সময় অনেকে বাচ্চার গলায় দাগ দেখেছেন বলেও জানান।
এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করবেন কিনা জানতে চাইলে নুসরাতের মা কোথাও অভিযোগ করবেননা বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শৈলকূপার বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত নেয়ামত আলীর পুত্র রাহিদুলের সাথে ঝিকরগাছার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আঃ জলিলের মেয়ে পারভীনার সাথে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তখন দুজনেই দুটি এনজিও সংস্হায় চাকরি করতো। বর্তমানে দুজনই বেকার।