তহশীল অফিসের কয়েক দালালসহ নিজের দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষ উদয়ের দোকান ঘর গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি অসীম ও তার ভাই বিকাশের হাত ভেঙে দেয় ব্রজেন মন্ডল। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর মামলা করতে থানায় যেয়ে উল্টো বিরুদ্ধ পক্ষের মামলায় গ্রেপ্তার হয় অসুস্থ বৃদ্ধ গোকুল মন্ডলসহ ৩ জন।
এদিকে শাবলের আঘাতে গুড়িয়ে দেয়া হাত নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শুয়ে কাতরানো অসীমকে দেয়া হচ্ছে হাত কেটে নেয়ার হুমকি। আগের দিন উপজেলার মুন্সিগঞ্জ জেলেখালী পল্লীতে ঘটে যাওয়া সংহিংস তান্ডবের ধারাবাহিকতায় একের পর ঘটে চলেছে এসব ঘটনা।
উল্লেখ্য রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলেখালী গ্রামের ব্রজেন মন্ডল তার পরিবারের সদস্যসহ ভাড়াটে লোকজন নিয়ে প্রতিবেশী উদয় মন্ডলের দোকানে হামলা চালিয়ে তা গুড়িয়ে দেয়। এ সময় বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে হামলার সাথে জড়িতরা বেপরোয়া মারপিট করে উদয়ের ভাই অসীম ও বিকাশের হাত ভেঙে দেয়। ঘটনা দ্রুত চড়িয়ে পড়তেই উদয়ের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে দু’পক্ষে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে জানা গেছে রোববার সংঘর্ষের ঘটনায় অসীম ও বিকাশ ছাড়াও প্রতিপক্ষের ললিতা ও ভবানীসহ ৮ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে অসীমের ডান হাত পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যরা কমবেশী আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আলোচিত ঐ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকা বৃদ্ধ গোকুল মন্ডলসহ তার দুই ভাইপোকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলার নেতৃত্ব দেয়া ব্রজেনের মামলায়(২৫ নং মামলা) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে একই মামলায় আসামি করা হয়। এদিকে হামলার শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে যেয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর উদয়ের স্ত্রী প্রভাতী মন্ডলের মামলা গ্রহন করে পুলিশ। ব্রজেনসহ হামলার সাথে জড়িত ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে প্রভাতীর মামলায় আসামি করা হয়। তবে আগেই সতর্ক হয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় হামলার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত গোকুল মন্ডলের মেয়ে সুপ্রভা মন্ডল জানান তার বাবা অসুস্থ বিধায় ঘটনার সময় বাড়িতে শয্যাসায়ী থেকেও আসামি হয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধনে বিনা উস্কানীতে ব্রজেন তার লোকজন নিয়ে দোকান ঘর গুড়িয়ে দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়ে উল্টো মামলা করিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখালেন। তিনি অভিযোগ করেন তার কাকার চেলে অসীমের হাত হুড়িয়ে দেয়ার পরও ব্রজেনের লোকজন হাসপাতাল থেকে বের হলে ভেঙে যাওয়া অংশ থেকে কেটে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা কারাগারে ও চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে তাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এসব বিষয়ে ব্রজেন মন্ডল জানান তার লোকজন এধরনের হুমতি দেয়ার কথা না। মামলা দায়েরের পর বিষয়টি পুলিশ দেখবে বলেও তিনি দাবি করেন।