বগুড়ায় অপহরণ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। এ সময় অপহরণ হওয়া নারীসহ ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নারুলী এলাকার মৃত মোখলেছারের পুত্র সাকিব হোসেন (২২), চান্দু মিয়ার পুত্র শাকিল ইসলাম (২৪) এবং নুর আলমের পুত্র জুয়েল রানা (২৫)। এই সময় অপহরণকারী চক্রের ৪/৫ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারোটায় র্যাব-১২ বগুড়ার এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এইসব তথ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি কমান্ডার (স্কোয়াড্রন লিডার) তৌহিদুল মবিন খান
কোম্পানি কমান্ডার (স্কোয়াড্রন লিডার) তৌহিদুল মবিন খান জানান সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে জানান, সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে উদ্ধার হওয়া আকাশ হোসেন ও সুমাইয়া আক্তার পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে শহরের মাটিডালি বিমান মোড়ে দেখা করতে যান। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তাদের অনুসরণ করে আকাশ ও সুমাইয়াকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে। পরে তাদের সিএনজি চালিত অটোতে উঠিয়ে শহরে নারুলী আকাশতারার রেল লাইন এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারীরা অপহৃত আকাশ ও সুমাইয়ার নিজ নিজ মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে ফোনে করে মুক্তিপণ দাবি করে। দাবীকৃত মুক্তিপণ না পেলে তাদের হত্যার হুমকিও দেয় অপহরণকারীরা। এছাড়াও প্রাথমিকভাবে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে সুমাইয়ার পরিবারের থেকে বিকাশের অর্থ হাতিয়ে নেয় অপহরণকারী চক্র।
তিনি আরও জানান, অপহরণ হওয়া আকাশে স্ত্রী বগুড়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে বিষয়টি র্যাব-১২ সিপিএসসি বগুড়াকে অবহিত করলে র্যাব বিষয়টা আমলে নিয়ে অপহরণ হওয়ার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে র্যাব-১২ বগুড়া প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃতদের অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযানে পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনা একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নারুলীর আকশাতারা এলাকার ধানের জমি থেকে আকশাকে ও তার পাশের একটি এলাকা থেকে সুমাইয়াকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় র্যাবের হাতে তিন অপহরণকারী ধরা পরে। এবং ঘটনাস্থল থেকে আরও ৪/৫ জনের অপহরণকারী চক্রের সদস্য কৌশল অবলম্বন করে পালিয়ে যায়। এ অপহরণকারী চক্র বহুদিন ধরে শহর এবং শহরের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মকা- চালিয়ে আসতেছিল। অপহরণকারী চক্রের গ্রেপ্তার হওয়া শাকিল ইসলাম একটি হত্যা মামলায় প্রায় ১১ মাস জেলহাজতে থাকার পরে সম্প্রতি তিনি জামিনে যুক্ত হয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকা- শুরু করেন।
র্যাব-১২ বগুড়ার এই কর্মকর্তা বলেন, অপহরণকারী চক্রের সাথে জড়িত গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং সদর থানার মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পেশ করা হবে।