বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমনের জমিতে বিভিন্ন রকমের পোকা মাকড় ও রোগবালাই দেখা দিয়েছে। উঠতি ফসলে এ রকম রোগবালাই ও পোকা মাকাড়ের উপদ্রুপ দেখা দেয়াই কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জান গেছে, সারিয়াকন্দি উপজেলার ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ী, নারচী, কামালপুর, কুতুবপুর, হাটশেরপুর ও সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে বিল এলাকা গঠিত। এসব এলাকায় চাষীদের আমনের আবাদ করেন, ব্যাপক হারে। এসব এলাকার চাষীরা নতুন ধানে নবান্ন উৎসব করে থাকেন অগ্রাহন মাসে। কিন্তু আমন ফসলে রোগবালাই পোকমাকড়ের উপদ্রপের কারণে সে আশা অনেকটাই চিন্তাই ফেলেছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, আমাদের এখানে এবার আমনের চাষ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে রোপন করা আমন ধানের গাছ থেকে শীষ বেরুতে শুরু করেছে। চাষীরা বলেছেন, আমাদের আমন ধানের অনেক জমিতে পোকমাকড়, ও খোলপচা রোগ দেখা দিয়েছে। সদর ইউনিয়নের সরকার পাড়ার চাষী লাবলু সরকার বলেন, আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। রনজিত, গুটিস্বর্না ও বি-আর জাতের ধান রয়েছে আমার জমিতে। এর মধ্যে ৫ বিঘা জমি ধরেই পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। আমি ওই সব জমিতে কয়েক বার কীটনাশক স্প্রে করার পর তা অনেকটাই দূর হয়েছে। তবে আমার স্কিমের সেচ মেশিনের আওতায় অন্য চাষীদের প্রায় ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। এসব জমিতে কারেন্টপোকা, পাতা মোড়ানোপোকা, মাজরাপোকা, ও খোলপচা রোগ লেগেছে। তারা এসব রোগবালাই সাড়ার জন্য চেষ্টা করছেন।
ফুলবাড়ী ভিটাপাড়া গ্রামের চাষী হাবিবুল ইসলাম হাবু বলেন, পোকামাকড় ছাড়াও খোলপচা রোগ নিয়ে অনেক আমন চাষি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এ সময় আমনের আবাদে এমনটি হওয়ায় কিছু ভেবে শেষ করতে পারছেন না তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবদুল হালিম বলেন, রোগবালাই তে থাককেই। তবে কি পরিমান জমিতে এই পোকামাকড় ও রোগবালাই ধরেছে তা আমার জানা নেই। তবে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আমনের রোগবালাই পোকমাকড় দমনের জন্য চিরণী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। লিফলেট বিতরন ছাড়াও মাঠে ঘাটে গিয়ে আমান চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বপরি বলা যায়, এবার আমনের আবাদ খুব ভালো হয়েছে, বামপার ফলন পেয়ে চাষিরা লাভবান হবে আশা করি।