নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভুগি কতিপয় ব্যক্তি। ১৯ অক্টোবর ওই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয় দখল মুক্ত করার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেই রেলওয়ের অভিযান চালানো হয় দফায় দফায়। আইন আদালতকে অবজ্ঞা করে সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এ অভিযান। নিয়মের দোহাই দিয়ে অভিযানে নামলেও পুরো প্রক্রিয়াই একপ্রকার ভাঁওতাবাজি। এটি একেবারে অবৈধ ও অযোক্তিক বলে দাবি করেছেন শেখ সাদ রিয়েল স্টেট লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. আলিম মিন্টু। সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে 'শেখ সাদ কমপ্লেক্স' চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরিয়তুল্লাহ রায়হান, পৌর কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ, ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির মন্ডল, হারুনুর রহমানসহ অনেকে।
লিখিত বক্তব্যে শেখ আলিম মিন্টু বলেন, কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ করে গত ১২ অক্টোবর সৈয়দপুর শহরের বাঙ্গালীপুর, নিয়ামতপুর ও মুন্সিপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ভুসম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান নেতৃত্বদেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বতীপুর রেলওয়ে কাচারীর ফিল্ড কানুনগো জিয়াউল হক, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) আহসান উদ্দীন, সহকারী প্রকৌশলী (আইওডাবলু) শরিফুল ইসলাম, সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সহকারী কমান্ডার আতিয়ার রহমান ও রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগের প্রকৌশলী (পিডাবলু) সুলতান মৃধা,রেলওয়ে থানা পুলিশ ও আরএনবির রিজার্ভ ফোর্স।
এ সময় রেলওয়ের বেদখলি জমি উদ্ধারের নামে বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের খুটি গেড়ে লাল নিশান লাগানোসহ প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, তালা দেয়া ও জরিমানা আদায় করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় যারা বৈধভাবে লিজ নিয়েছেন বা যে সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান সেখানে কোনভাবেই তারা হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।
ওইদিন তারা আইন আদালতকে উপেক্ষা করে নিয়মের দোহাই দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শেখ সাদ কমপ্লেক্সে আসেন। এ জায়গা রেলওয়ের দাবী করে দখলে নিতে তালা লাগানোর পায়তারা করেন। অথচ এই দাবীতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই মামলা করেছেন। যা বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ কোর্ট, সৈয়দপুর, নীলফামারীতে বিচারাধীন।
এ দিকে মামলা নিষ্পত্তি না হতেই তারা কোন আইনে এমন কাজ করলেন। এটা আদালত অবমাননার সামিল বলে তারা উল্লেখ করেন।
শেখ আলিম বলেন, আমার ১৪১ শতক জমির ব্যক্তি মালিকানা ভারতবর্ষ আমল থেকে শুরু করে সর্বশেষ সৈয়দপুর বিজনেস সিন্ডিকেট নামক সংগঠনের নামে বৈধ কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হয়েই কোটি টাকা বিনিয়োগে ক্রয় করেছি। এরপর নিয়ম মাফিক খারিজ করে সরকারী সকল ফি পরিশোধ করেছি। প্রশ্ন হলো রেলওয়ের জমি হলে কি সাব রেজিষ্ট্রি ও উপজেলা ভুমি অফিস আমার নামে দলিল রেজিষ্ট্রি, খারিজ সম্পাদন করতেন। তাছাড়া এতদিন ধরে ওই জমি হাতবদল,পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির পরও রেলওয়ে তখন কেন আপত্তি করল না।
এভাবেই মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযানের নামে হাতিয়ে নেয়া হয়ে থাকে লাখ লাখ টাকা। সাথে বিরাজ করছে সৈয়দপুরবাসীর মধ্যে একটা আতংক। আর এ বিষয়টি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।