একপিতা তার একমাত্র কন্যা সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি পাবার জন্য দারেদারে ঘুরছে। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের মৃত ওয়াজেদ সরদারের ছেলে মো.ইলিয়াস সরদার একই উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের একই উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের (সাবেক এডিসি) সুনীল চন্দ্র চৌধুরীর ছোট মেয়ে ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলির সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্বে দুজনের বিবাহ বন্ধনে আবদ্য হয়। বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্যজীবনে একটি কন্যা সন্তানে জন্মহয়। ওই কন্যার নাম রাখা হয় ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা। স্বামী ইলিয়াস সরদার ও স্ত্রী ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলির সাথে পারিবারিক কলহর কারণে ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলি মেয়ে ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলাকে নিয়ে বাড়ি থেকে ফরিদপুরে চলে যায়। ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা তখন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াসুনা করতো আগৈলঝাড়া সদর মডেল সরকারী প্রাথমীক বিদ্যালয়ে। তার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ৪নং মডেল ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর ২০০৮০৬১০২৪৭১০০৭৫২ অনুসারে ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলার জন্ম তারিখ ২৫ অক্টোবর- ২০০৮, পিতার নাম মো. ইলিয়াস সরদার, মাতার নাম ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলি লেখা রয়েছে।
ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা’র পিতার নাম পরিবর্তন করে ফরিদপুর সদর পৌরসভা থেকে একটি ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে। পৌরসভার ওই জন্ম নিবন্ধন নম্বর ২০০৮২৯২৬০০৮১৪৮০২২। ওই জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ঠিক রেখে ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলার নাম পরিবর্তন করে ঐশ্বিকা চেীধুরী ইলা পিতার নাম মো. ইলিয়াস সরদারের জায়গায় জনৈক অমিত চৌধুরী লেখায়। তার পরে ফরিদপুর পুলিশ লাইন হাইস্কুলে অমিত চৌধুরী ৫ শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ২০১৮ সালে এবং ২০২১ সালে অষ্টম শ্রেণীপাস করে। স্কুল সার্টিফিকেটে পিতার নাম লেখা রয়েছে অমিত চৌধুরী।
এব্যাপারে মো. ইলিয়াস সরদার জানায় ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা আমার সন্তান। একটি জন্মসনদ থাকার পরে তথ্যগোপন করে ফরিদপুর সদর পৌরসভা থেকে একটি ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে আমার নামের পরিবর্তে অমিত চৌধুরী লিখেছে। ঐশ্বরিয়া জুনিয়র ইলা আমার মেয়ে তার সকল প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমার মেয়েকে বিক্রীকরার জন্য এইকাজটি করেছে আমার স্ত্রী ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলি তার এক দুলাভাই ফরিদপুরে সাবেক পুলিশ সুপর সুভাষ এর মদদে।
এব্যাপারে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্স হাই স্কুল প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ আবদুল কায়ুম শেখ বলেন, শিক্ষার্থীর মা আমাদের যে তথ্যদিয়েছে আমরা সে ভাবে লিপিবদ্ধ করেছি। কিছুদিন পূর্বে জানতে পেয়েছি শিক্ষার্থীর আসল পিতা মো.ইলিয়াস সরদার।
অভিযুক্ত ঐশ্বরিয়া চৌধুরী ডলি এ ব্যাপারে জানান, আমার বিয়ের পর থেকে আমাকে প্রচন্ড রকমের মারধর করতো। আমাকে ও মেয়েকে একসাথে মারধর করতো যা এলাকার লোকজন যানে। তার কারণে মেয়ে কে নিয়ে পালিয়ে আসি। আমার স্বামী ইলিয়াস সরদার’কে ডিভোর্স দিয়েছি। ইলিয়াস সরদার নামটা আমার কাছে ভালো লাগেনা বলে মেয়ের পিতার নামে অমিত চৌধুরী দিয়েছি।
এব্যাপারে ফরিদপুর সদর শিক্ষা অফিসার নার্গিস জাফরী জানায়, আমি কাজে অনেক বিজি থাকি। বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানেছি আমি খোঁজনিয়ে দেখবো কি হয়েছে।