মরনোত্তর দেহ দানের ঘোষণা দিলেন ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ।
১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার যশোরের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের এ্যাড. জিএম আবু মুছা ও জজ কোর্টের এ্যাড. আবুবকর সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে এই এফিডেভিট রেজিস্ট্রি করেন। (রেজিস্ট্রি নং ৮২৯৭, তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২) তার এফিডেভিটের কপি যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মহিদুর রহমানের নিকট জমা দিয়েছেন।
তিনি মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত হেরমত আলী মোড়ল ও মৃত রুমিছা খাতুনের সন্তান। বর্তমানে তিনি ঝিকরগাছা পৌরসদরের পুরন্দুরপুর সাদ্দামপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ১৯৫৩সালে জন্মগ্রহনের পর ১৯৭১সালে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দেশকে স্বাধীন করেন। ঝিকরগাছা সরকারি এমএল হাইস্কুল থেকে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন।
মরনোত্তর দেহ দানের ঘোষণা পত্রের সূত্রে জানা যায়, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চিকিৎসা সেবায় মরনোত্তর দেহ দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। মৃত্যুরপর ঝিকরগাছা পৌরসভার যে কোনো স্থানে চলমান রীতি অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মাননা প্রদানের পর, তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার মৃত দেহ যশোর মেডিকেল কলেজকে হস্তান্তর করার ঘোষণা করেছেন। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের উপকরণার্থে বা চিকিৎসার প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ তার দেহ ব্যবহার করতে পারবে।
ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার দেহদান করা দেশ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে বীরের মর্যাদায় আসীন থাকবেন। তিনি আমাদের গর্ব।