নির্বাচনে জয়লাভ করে শপথ নিয়ে দিব্যি ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাজেদুর রহমান সাজু নামের ইউপি সদস্য (মেম্বার)। ৬ মাসের সম্মানী ভাতা উত্তোলনও করেন সে। বিপত্তি বাঁধে গত ১৭ অক্টোবর বগুড়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটদিতে গিয়ে। গাবতলী উপজেলা পরিষদের ইছামতি হলররুমে তিনি ভোটদিয়ে গিয়ে দেখলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত প্রার্থী লুৎফর রহমানের নামে গ্রেজেট পাশ হয়ে আছে। ভোটদিতে না পেরে ফিরে আসেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়।
এসংবাদ পেয়ে পরাজিত প্রার্থী লুৎফর রহমান গ্রেজেটের কপি সংগ্রহ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে বকেয়া ৩ মাসের সম্মানী ভাতা উত্তোলন করেন। এঘটনাটি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নাড়-য়ামালা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বুধবার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সাজেদুল রহমান সাজু টিউবওয়েল প্রতিকে দুটি কেন্দ্র থেকে ৬’শ ৪ ভোট পেয়ে সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি লুৎফর রহমান তালা মার্কা প্রতিকে ৩ শত ১৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়।
যোগাযোগ করাহলে, সে সময়ের রিটার্নিং ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল হান্নান সরকারের সাথে তিনি জানান, ভুলের কারণে পরাজিত প্রার্থী লুৎফর রহমানের নামে গ্রেজেট পাশ হয়েছে। নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রওনক জাহান জানান, রিটার্নিং অফিসারের ভুলে কারণে এমনটি হয়েছে। ভুল গ্রেজেটটি সংশোধন করে, নির্বাচনে জয়ী সাজেদুল রহমান সাজুর নামে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। লুৎফরের উত্তোলনকৃত সম্মানী ভাতার টাকা ফেরত নিয়ে জমা রাখা হয়েছে।