স্বাধীনতার ৫১ বছর পরেও উন্নয়ন বঞ্চিত দোয়ারাবাজার উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুরান বাশতলা চিলাইপাড় এলাকাবাসী। এলাকার একমাত্র যাতায়াতের রাস্তা চৌধুরীপাড়া -চিলাইপাড় রাবারড্যাম্প রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া থেকে পুরান বাশতলা হয়ে চিলাইপাড় রাবারড্যাম্প পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।
পুরান বাশতলা ও চিলাইপাড় গ্রামে প্রায় ৪ হাজার মানুষের বসবাস গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে।
পুরান বাশতলা ও চিলাইপাড় গ্রামের একমাত্র সড়কে কাদা জল মারিয়ে চলে দুই গ্রামবাসী। একটু বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
পুরান বাশতলা ও চিলাইপাড় গ্রামের প্রায় ৪হাজার লোকের চলাচল স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৯ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় কাঁদা ডিঙিয়ে বিদ্যালয়, মাদ্রাসা কিংবা কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
আশপাশের সব রাস্তা পাকা হলেও এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকবাসী।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের পুরান বাশতলা, চিলাইপাড়,,বামেরবন্দ,কুশিউড়া,রাঙাউঠি,মৌলারপাড়, চৌধুরীপাড়া, নতুন বাশতলাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার লোক চলাচল করে। সড়কটি কাঁচা থাকার কারণে চলাচলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাদা জলে পড়ে গিয়ে শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন অনেকে।জনগণের ব্যাপক চলাচলের কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে প্রায় হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ওই গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ওই কাচাঁ সড়ক দিয়ে কলেজ, বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।ওই রাস্থা দিয়েই চৌধুরীপাড়া বাজার,হকনগর বাজার,বাংলাবাজার, বোগলাবাজার, দোয়ারাবাজার যেতে হয়,এতে করে সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এলাকাবাসীরা আরো জানান, রাস্তাটি পাকাকরণ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ওই গ্রামের মানুষগুলো প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা পাকাকরনের দাবি জানান তারা।
এছাড়া পুরান বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলাউড়া মার্কেট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার একই অবস্থা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার শতশত পথচারী যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
পুরাণ বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফা জানান, খুব খারাপ লাগে যখন দেখি ছোট ছোট কোমলমতি বাচ্চারা কাদামাটি মেখে স্কুলে আসছে। অনেক গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেই আসতে পারেনা।রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি ওঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। নির্বাচনের সময় রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তারা ভোট নেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর তাদরে খোঁজ খবর নেন না রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানান তিনি।
বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোছাইন বলেন,, এ পথে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন, বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছেন না কৃষকরা। গবাদী পশু নিয়েও হতে হচ্ছে বিড়ম্বনার শিকার।সড়কটি মেরামত করলে এলাকার দুর্ভোগ কমবে। এলাকার লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে এ সড়কটি পাকা করা দরকার।দ্রুত সড়কটি পাকা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।